প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছেন কর্মব্যস্ত মানুষেরা। রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেল স্টেশন ও সদরঘাটে এখন এমনই চিত্র।
চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, ঢাকায় ফিরতে এবার তুলনামূলকভাবে কম ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। ঢাকায় ফেরা যাত্রীরাই এমনটা জানিয়েছেন। এটা অবশ্যই আশার খবর। তবে এখন যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় ভোগান্তি কম হলেও পুরো ফিরতি যাত্রা ভোগান্তিমুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্টরা সচেতন থাকবেন বলে আমরা আশা করি।
প্রতি বছর ঈদযাত্রায় যানজটের ভোগান্তি থাকলেও এবার সেই ভোগান্তি তেমন একটা ছিল না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিনটি নতুন সেতু খুলে দেয়ার সুফল পেয়েছে সাধারণ মানুষ। এর ফলে ঈদের সময়ও ঢাকা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টায় কুমিল্লা আর পাঁচ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
রেলপথে অনলাইনে টিকিট সংক্রান্ত কিছু ঝামেলা থাকলেও অন্যান্য বছরের চাইতে এবার ভোগান্তি কম হয়েছে। হাতে গোণা কিছু ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটলেও সেটা সহনীয় পর্যায়েই ছিল। নৌপথেও তেমন কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া মানুষ যাতে এবার ভোগান্তির শিকার না হয় সেজন্য র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাও ছিল প্রশংসনীয়।
ঈদে মানুষের ঘরে ফেরা এবং নিরাপদে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রচেষ্টা সন্তোষজনক। সবার এমন সম্মিলিত উদ্যোগই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষদের ঈদযাত্রা নিরাপদ হয়েছে, শূন্যের কোটায় ছিল ভোগান্তিও। একইভাবে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলের উদ্দেশে সাধারণ মানুষের ফিরতি যাত্রা নিরাপদ ও ভোগান্তিমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।