করোনায় সিনেমা হল সচল না থাকায় গেল ঈদে ওটিটি প্লাটফর্ম আই থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে ‘কসাই’ নামের একটি নতুন সিনেমা। আলোচিত চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুনের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন নিরব, রাশেদ অপু, প্রিয়মণি, নওশাবা, তন্ময় প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা নিরবের এটিই প্রথম সিনেমা যেটি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে।
এ নায়কের দাবী, সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শক পছন্দ করেছেন। তিনি বলেন, কসাই দেখে একজনও বলেননি খারাপ লেগেছে। মানে কেউ অপছন্দ করেনি। প্রত্যেকে সিনেমাটি উপভোগ করেছেন।
পরিচালক অনন্য মামুন বলেন, এবার ঈদের নাম্বার ওয়ান ওয়েব কনটেন্ট ছিল ‘কসাই’।
তিনি বলেন, যে পরিমাণে দর্শক দেখেছেন তা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। ‘কসাই’ থেকে এতো ভালো সাড়া পেয়েছি যে ‘কসাই ২’ বানাবো। পুরোপুরি ফাইনাল।
‘কসাই’ কোনো নায়ক নায়িকা নির্ভর সিনেমা নয়। এটি গল্প প্রধান সিনেমা। চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে নিরব বলেন, সিনেমার ধারা এখন পরিবর্তন হয়েছে। সিনেমা হতে হবে গল্প নির্ভর। ‘কসাই’ পুরোপুরি গল্প ও চরিত্র নির্ভর সিনেমা। এই জিনিসটিকে দর্শক পছন্দ করেছেন। তাছাড়া প্রথমবার আমার কোনো সিনেমা ওটিটিতে মুক্তি পেল। আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। দর্শকরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা খুব ভালো রেসপন্স দিয়েছেন। আমিসহ পুরো টিম কাজটি নিয়েই খুবই হ্যাপি।
তিনি বলেন, দর্শক সাড়া পেয়েছেন বলেই পরিচালক অনন্য মামুন ভাই ‘কসাই ২’ বানাতে চাচ্ছেন। এছাড়া রাশেদ অপু ভাইও দারুণ করেছেন। আমার আবির চরিত্রটিও দর্শকদের মনে ধরেছে। ফেসবুকের বিভিন্ন রিভিউ পেয়েছি। যেই দেখেছে সেই পছন্দ করেছে। কেউ বলেনি, কাজটা ভুয়া হয়েছে। ওটিটি এখন ট্রেন্ডের বিষয়। আমরা এই ট্রেন্ডের সঙ্গে ভালোভাবে আছি।
হলে মুক্তি পেলে যেমন ফিডব্যাক আসে তেমনটা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে ঢাকাই সিনেমার ‘আব্বাস’ খ্যাত নায়ক বলেন, হলের মতো ফিডব্যাক তো কখনই হবে না। হল ওটিটি দুটি দুই মাধ্যম। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু মানিয়ে চলতে হয়। আমরা ওটিটিতে ‘কসাই’ মুক্তি দিয়ে সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। করোনার কারণে সিনেমা হল বন্ধ। যারা হলে দেখতে পারেননি তারা ওটিটিতে দেখবে বলে ঠিক করে দেখেছেন। আমি নিজেও দেখেছি। অনন্য মামুনের নির্দেশনা পেয়ে অভিনয়ও ঠিক করেছি।
তিনি বলেন, বিগত দুই বছরে সিনেমা হলের যে অবস্থা এখন ওটিটি ছাড়া উপায় দেখছি না। করোনা গেলে সিনেমা হল খুলতে চাইলে দেখা যাবে অবস্থা আরও শোচনীয়। হলগুলোর পরিবেশ এখন যাচ্ছে তাই। এগুলো সংস্কার না করলে দুই বছর অযত্নে পড়ে হল চালু করাও মুশকিল হবে। শুনেছি সিনেমা হলে প্রণোদনার কথা। কিন্তু কবে এটি কার্যকর হবে সেটির কোনো ঠিক নেই। সবমিলিয়ে পরে অনেক বেশি ক্রাইসিস শুরু হবে।