ঈদের কাজের ব্যস্ততার পর পরিবার এবং নিজের মতো করেই ঈদের দিনটি উদযাপন করছেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা জাফর। এবারের ঈদে বিভিন্ন চ্যানেলে তার অভিনীত পাঁচটি নাটক সম্প্রচার হবে। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে তার সাত নাম্বার মিউজিক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। আর সব মিলিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন তিনি।
চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে একান্ত আলাপে মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা জানালেন তার ঈদ শপিং, ছোটবেলার ঈদ, এখনকার ঈদসহ আরো অনেক কথা।
ঈদ শপিং: কবে যে মন থেকে ঈদে শপিং করেছি মনে নেই। কারণ সারাবছর এতো শপিং করি, তাই ঈদের জন্য আলাদা করে শপিং করতে হয় না। কিছুদিন আগেও মাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করেছি। পরিবারের সবাই আমার দেওয়া যেকোনো উপহার খুব পছন্দ করে। তাই সবার জন্য কেনাকাটা করতে আমার খুব ভালো লাগে। আর নিজের জন্য ঈদে তেমন কিছু কেনা হয় না সারাবছর যা শপিং করি তা দিয়েই চলে যায়।
ঈদ প্রস্তুতি: ঈদের দু’দিন আগেই সমস্ত শুটিং’র কাজ শেষ করলাম। বাসার জন্য কোরবানির গরু মা কিনে ফেলেছে। তবে আমার উপার্জনের টাকা দিয়ে ‘চেশায়ার হোম’ নামে প্রতিষ্ঠানের প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের গরু কিনে দিয়েছি। এছাড়া তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই। তবে হ্যাঁ ঈদের কাজ নিয়ে যেহেতু ব্যস্ত ছিলাম তাই ছুটির এ’কটা দিন একটু বিশ্রামে থাকব।
ঈদের দিন: ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মিষ্টি জাতীয় খাবার শাহী টুকরা, পায়েস রান্না করি। এরপর গরুর মাংস বাসায় নিয়ে আসলেই প্রথমে কলিজা ভুনা করে ফেলি। এছাড়া স্পেশাল গরুর মেজবানি এবং চিকেন বিরিয়ানি রান্না করি। আসলে রান্না করতে পারি বলে মা রান্নার দায়িত্ব আমাকে দিয়ে দেয়। তবে ঈদের সেমাই এবং দুপুরে খাবারটা আমি চেশায়ার হোম’র প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের সঙ্গে খাই। কারণ ওরা আমার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকে।
ছোটবেলার ঈদ: ছোটবেলার ঈদের কথা মনে পড়লে ভীষণ আনন্দ লাগে। ছোটবেলায় ঈদের সময় নতুন কাপড় ও জুতা আমি কাউকে দেখাতাম না। মনে করতাম দেখালেই পুরাতন হয়ে যাবে। আর ঈদের দিনে একঘন্টা পর পর একটি করে নতুন জামা পড়তাম। এছাড়া কার কত সেলামি হত সেটি নিয়েও শুরু হতো প্রতিযোগিতা।
এখনকার ঈদ: বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈদের সেই আনন্দগুলো হারিয়ে যায়। ওই ঈদগুলোই আমি সবচেয়ে বেশি মিস করি। এখন দেখা যায়, বাসায় আত্মীয় স্বজন কিছু বন্ধু বান্ধব আসে খাওয়া হয়, আড্ডা দেওয়া হয় এ পর্যন্ত।
ঈদের স্মৃতি: ছোটবেলার এতো ঈদের স্মৃতি আছে কোনটি ছেড়ে কোনটি বলবো? তবে বলতে পারি, ছোটবেলার ঈদ ছিল আনন্দের ঈদ।