চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে

‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই গানের মতো আবার এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ মানুষের মনে নিয়ে আসে এক দারুণ প্রশান্তি।

ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা সিয়াম পালনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি, সংযম, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও দানশীলতাসহ নানা গুণাবলি চর্চার পরে ঈদুল ফিতরের আগমন হয়। এ দিন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন।

করোনা মহামারীর কারণে বিগত বছরগুলো সারাবিশ্বের মতো আমাদের দেশেও ঈদ উদযাপন সেভাবে সম্ভব ছিল না, তাই এবছরের ঈদ একটু ভিন্ন মাত্রা বয়ে আনছে। ঈদে আপনজনের পাশে থাকতে গ্রামে ছুটতে দেখা গেছে অনেককে। প্রিয়জনের মুখ দেখা যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশের নয়। করোনা অবরুদ্ধ সময়ের বিধিনিষেধ কাটিয়ে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ও ফিরে পেয়েছে স্বস্তি।

দেশের বিভিন্ন স্তরের জনগণ তাদের সামর্থ্য অনুসারে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে। যারা পারছে না তাদের পাশে সামর্থ্যবানদের দাঁড়ানো উচিত জাকাত-ফেতরাসহ দানের মহিমায়। সবার সম্মিলিত মমতাবোধে মানুষে মানুষে দূরত্ব কমে আসবে।

রমজান মাসজুড়েও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধবিগ্রহ চলেছে। প্রতিদিন বহু মানুষ তাতে প্রাণ হারিয়েছে। দেশেও হিংসা-মারামারি-হত্যার ঘটনা ঘটেছে প্রতিদিন। নানা দুর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে স্বজন ও সম্পদ হারিয়েছে অনেকে। তারপরেও ঈদ উপলক্ষে আমাদের প্রত্যাশা তবুও মানুষ মানুষের পাশে থাকুক উৎসবে, শোকে মমতায়। ঈদের পবিত্র উসিলায় জয় হোক সম্প্রীতির, ভ্রাতৃত্বের আর সমতার। সবাইকে জানাই ‘ঈদ মোবারক’।