চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ৭০ কি.মি রাস্তায় খুব একটা যানজটে পড়তে না হলেও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে কিছুটা ধীরগতিতে চলছে সব বাহন। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেন ও বাসের ছাদ এবং খোলা ট্রাকে যেসকল মানুষ ঘরে ফিরছেন তাদের পড়তে হচ্ছে বৃষ্টির ভোগান্তিতে।
চন্দ্রা থেকে ছেড়ে আসা তারাকান্দীগামী দিগন্ত পরিবহনের বাসের ছাদের যাত্রী গার্মেন্টস কর্মী মতিন জানান, কোনাবাড়ি এলাকার অধিকাংশ গার্মেন্টস মঙ্গলবার থেকে ছুটি ঘোষণা করেছে। একসাথে অনেক লোক ভিড় করায় বাসের ভেতর কোনো সিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাসের ছাদে চড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বাড়ি যাচ্ছেন তিনি।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী হানিফ পরিবহনের বাসযাত্রী সিরাজুল বলেন, সকাল ৯টায় গাবতলী থেকে বাস ছেড়েছে। সাড়ে ৫ ঘন্টা লেগেছে এলেঙ্গায় পৌঁছাতে। একটানা কোথাও গাড়ি থেমে থাকেনি। তবে চলার গতি অনেক কম। অন্য সময়ের চেয়ে দুই-আড়াই ঘন্টা সময় বেশি লেগেছে। কিন্তু, ঈদের সময় এটা মেনেই নেওয়া যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, রাস্তায় যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় সেজন্য অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ। তবে হঠাৎ দুর্ঘটনা ও রাস্তার মধ্যে গাড়ি বিকল হয়ে গেলে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে কিছু সময়ের জন্য যানজট লেগে যায়।
সকালে দু’টি গাড়ি রাস্তায় বিকল হয়ে গেলেও তা দ্রুত অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
ট্রেনে যানজট না থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রীরা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ট্রেনের ছাদে করে রওনা দিচ্ছেন নিজ গন্তব্যের পথে। এরকম যাত্রীর সংখ্যা অনেক।