অনলাইন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির ব্যাংক হিসাবে লেনদেনে নতুন করে স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়নি। ফলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে স্বাভাবিক লেনদেনে বা কার্যক্রমে আর বাধা থাকলো না।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় প্রতিষ্ঠানটিসহ এর চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের পরিচালিত সব ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু নতুন করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ায়নি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। ফলে ই-ভ্যালির ব্যাংক হিসাবে স্বাভাবিক লেনদেনে বাধা নেই।
গত ২৭ আগস্ট ই-ভ্যালির ব্যাংক হিসাব ৩০ দিন স্থগিত রাখতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়েছিল বিএফআইইউ।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ই-ভ্যালি লিমিটেডের নামে এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, এনআইডি নম্বর- স্মার্ট (২৮০৬২০১০৭১) ও এমবি মো. রাসেল এনআইডি নম্বর- স্মার্ট (১৪৮৮২৬৭২৪৪) এর নামে পরিচালিত সব হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ক্ষমতাবলে পত্র ইস্যু তারিখ থেকে ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেয়া হলো। লেনদেন স্থগিতাদেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ এর ২৬ (২) ধারা বিধান প্রযোজ্য হবে।
এছাড়া বর্ণিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত হিসাবসমূহের হিসাব খোলার ফরম কেওয়াইসি হিসাব খোলার শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী এবং বর্ণিত সময়ে ওই হিসাবে ৫০ লাখ বা তার বেশি টাকা জমা ও উত্তোলন সংশ্লিষ্ট দলিলাদি পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
পণ্য কিনলেই অর্থ ফেরতের অস্বাভাবিক ‘ক্যাশব্যাক’ অফার দিয়ে ব্যবসা করে আসছে বাংলাদেশি ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি। ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার দেয়া হচ্ছে। অস্বাভাবিক এসব অফারে হাজার হাজার গ্রাহক আকৃষ্ট হচ্ছেন। তবে কোনো কোনো গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিযোগিতা কমিশন মনে করে, এ ধরনের ব্যবসায়িক পলিসি বাজারে ব্যবসার প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে একচেটিয়া (মনোপলি) অবস্থার সৃষ্টি করছে ই-ভ্যালি, যা আইনের বরখেলাপ। এ অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর চিঠি পাঠায় সংস্থাটি।