দেশের ই-কমার্স ব্যবসাকে তদারকি করতে একটি ‘ই-কমার্স রেগুলেটরি অথরিটি’ গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাধন সোমবার এই রিটটি করেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান ও ই-ক্যাবকে এই রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
গতকাল রোববার এক মামলার শুনানিতে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আদালতকে বলেন, ‘মাই লর্ড আমাদের দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিষয়টা এমন যে, প্রথমে তারা অফার দিবে একটা মোটরসাইকেলের টাকায় দুইটা মোটরসাইকেল। এরপর গ্রাহকরা টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল পাবে এবং টাকাটা বাংলাদেশ ব্যাংকের গেইট ওয়ে দিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে চলে যাবে। এরপর আবার দুইটা কিনলে আরও দুইটা ফ্রি, চারটা কিনলে আরও চারটা ফ্রি পাবে এমন অফার আসে এবং গ্রাহক সে মোটরসাইকেল পায়। কিন্তু এক পর্যায়ে যখন গ্রাহক অধিক সংখ্যক যেমন, আটটা মোটরসাইকেল কিনলে আরও আটটা মোটরসাইকেল পাওয়ার জন্য টাকা দেয় তখন সে টাকা চলে যায়, কিন্ত মোটরসাইকেল আর আসে না।’
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আদালতকে আরও বলেন, ‘মাই লর্ড আমাদের এখানে লোভের শিকার হয়ে এবং ই-কমার্সের প্রতিষ্ঠানের প্রতারণায় গ্রাহকেরা প্রতারিত হচ্ছে।’ তখন হাইকোর্ট বলেন, ‘আপনারা তো পাবলিক ইন্টারেস্টের মামলা করেন। আপনাদের উচিত পাবলিকদের সচেতন করা, তারা যেন এক্ষেত্রে লোভ কমান।’