নির্বাচন কমিশন বিষয়ে বিএনপির প্রস্তাব নিয়ে ভাবতেই চায়না আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, তারা আন্দোলনের নামে এত এত মানুষকে মেরে খুন করেছে। সেই বিএনপির প্রস্তাব নিয়ে আবার ভাবার কি আছে? তাদের উচিত আগে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া, তারপর নিজেদের প্রস্তাব নিয়ে কথা বলা।
হাঙ্গেরি সফর থেকে ফিরে শনিবার গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন এই নির্বাচন কমিশন আমরা করিনি, সার্চ কমিটি থেকেই করেছেন। তার প্রস্তাবের মাথা ও লেজের কোনো নাগাল কেউ পেয়েছেন কিনা জানিনা। তাকে তো কোনো প্রশ্নও করতে পারেননি সাংবাদিকরা।
প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, তিনি ৯২ দিন অফিসে বসে থাকলেন। কেউ তাকে সরাতে পারলো না। আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারলেন। তার প্রস্তাব তিনি রাষ্ট্রপতিকে বলুন, রাষ্ট্রপতি বুঝবেন। রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নিবেন।
অতীতের কথা টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ছেলে মারা গেলো আমি বাড়িতে গেলাম, মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলেন। গাড়ি তো ঢুকতেই দিলো না, গাড়ি থেকে নামলাম ছোট গেট দিয়ে যেতে চাইলাম সেটাও বন্ধ করে দিলো। ভেতরে দেখছি মানুষ চলাচল করছে। দুশমনদের সঙ্গেও তো এমন আচরণ করা হয়না। খুনির সঙ্গে কিসের আলোচনা। নির্বাচন কমিশন আছে নির্বাচন হচ্ছে। তারা একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো, আরেকটাতে করলো না। সিটি কর্পোরেশনে অংশ নিবে, আবার জেলা পরিষদে অংশ নিবেনা। যে নির্বাচনে জিতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন তুলছে না। যার নিজের সিদ্ধান্তের ঠিক নেই, তার কাছে দেশ কি আশা করে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিষয়ে বলেন, ৭২ এর পর থেকে সব পার্টি মানে খুনিদের নিয়েও তিনি আলোচনা করতে চান। তাহলেই তো তার মনোভাব বোঝা যায়। রাজাকাররাই ছিলো তার কেবিনেট কলিগ। তার কাছে প্রত্যাশা কিসের? তার প্রস্তাব নিয়ে এত ভাবার কি আছে?