একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু আর গ্রহণযোগ্য করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ জানতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজের সংলাপ শুরু হয়েছে সোমবার। সেই সংলাপে মিডিয়ার উপস্থিতি নিয়ে চলছে বিতর্ক। কোন কোন সাংবাদিক অতীতের মতো সংলাপে থেকে সংবাদ করতে চাইলেও সুযোগ না দেয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) আসাদুজ্জামান আরজু বলেন:, সাংবাদিকরা যদি সংলাপে থাকতে চান সেক্ষেত্রে তারা আমাদের জানালে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো যে কীভাবে কী করা যায়।
তিনি বলেন: আগেও ইসির বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো। এখনও সেটা আছে। এবার ইসির সংলাপে সাংবাদিকদের থাকতে না পারার মূল কারণ স্থান সংকুলান না হওয়া।
‘আগে কতগুলো মিডিয়া ছিলো আর সাংবাদিকই বা ছিলেন কজন? ফলে সবাই থাকতে পারতেন। কিন্তু এখন কত কত সাংবাদিক! ফলে সবাইকে জায়গা দেওয়াটা হয়ে উঠছে না। তারপরও তারা চাইলে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হতে পারে,’ বলে জানান আসাদুজ্জামান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে ইসির সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিলো উল্লেখ করে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ইসি সবসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে চেয়েছে, এখনও তাই চায়।
একই কথা বলছিলেন নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি, আরএফইডির সভাপতি সোমা ইসলাম।
তিনি বলেন, ইসির সংলাপে সাংবাদিকদের উপস্থিতির বিষয়টা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক তেমন জটিল কিছু নয়। সেখানে জায়গা সংকুলান হয় না দেখেই সাংবাদিকদের ভেতরে নেওয়া হয়নি।
‘কিন্তু আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। তারা বলেছেন, ভবিষ্যতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ইসির সংলাপ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হতে পারে।’
আরো যোগ করে সোমা ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আগে কম সাংবাদিক থাকায় সবাই হয়তো সংলাপের ভেতরেই থাকতে পারতেন কিন্তু এখন সাংবাদিকদের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে এসব সংলাপে যা-ই আলোচনা হয় পরে নির্বাচন কমিশন ব্রিফ করে। সংলাপে আসা অতিথিরাও বাইরে এসে কথা বলেন।
‘ফলে লুকোচুরির কিছু নেই এখানে।’