চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হোসি কোনি’ও হয়েছিলেন গোলাম কিবরিয়া

হোসি কোনিও’র মরদেহ না নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে জাপানী দূতাবাস। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রমাণ পাওয়ায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে দাফন প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছেন তারা। কোনিও হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও খুনিদের বিচারও দাবি করেছেন ওই প্রতিনিধি দল।

জাপানী প্রতিনিধিরা দফায় দফায় হোসি কোনিও’র মৃতদেহ পর্যবেক্ষণ করেও লাশ বুঝে না নেয়ায় মিডিয়া কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে নানাপ্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। অবশেষে প্রমাণ মিলেছে হোসি কোনিও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ধর্মান্তরিত হয়ে হোসি কোনিও হয়েছিলেন গোলাম কিবরিয়া।

মুন্সিপাড়া কাদেরিয়া মসজিদের মুয়াজ্জেম তাজুল ইসলাম বলেন, মসজিদের সঙ্গে তাদের বাসা। আর আজানের সময় আমি তো থাকিই। আজান হলে জাপানি সাহেব আর বালা ভাই (জাকারিয়া বালা) নামাজ পড়তে আসেন এবং নামাজ শেষে বলেন আপনারা সবাই বসেন উনি মুসলমান হবেন।

সিটি মেয়রকে টেলিফোন করে মৃতদেহ দাফন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিয়েছে জাপান দূতাবাস। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, ওরা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে যে, আমরা যদি তার মরদেহ এখানেই দাফন বা আমাদের পদ্ধতি অনুযায়ী করি তাতে আমাদের কী কী নিয়মকানুন আছে। আমি তাদের আমাদের পদ্ধতির কথা তাদের বলেছি।

জাপানী প্রতিনিধি ও দূতাবাস থেকে দু’দফায় ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল এলেও জাপানী প্রতিনিধিদের ৩ জন ফিরে এসেছেন ঢাকায়। প্রশাসনের সাথে দেখা করে জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি দল কোনিও হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

কোনিও’র ব্যবসায়িক পার্টনার হুমায়ন কবির হীরার স্ত্রীর দাবি তার স্বামী ব্যবসায়িক পার্টনার নয় সহযোগী ছিলেন। ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে আটক বাড়ির মালিক জাকারিয়া বালার ছোট ভাই জাপান প্রবাসি জাকারিয়া জামিল মিশনের কথা জানিয়েছেন। আর রিমান্ডে নেয়া রাশেদুন্নবী বিপ্লবের স্ত্রী স্বামীকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তার স্ত্রী সুলতানা খাতুন শিল্পী বলেন, জাপানে একটা বন্ধু থাকে ওর নাম মিশন। টাকা পয়সা সবকিছুই ওনার। আমার স্বামী শুধু দেখাশুনা করতো। তার সাথে কোনো পার্টনাশিপ বলতে কিছুই ছিলো না।

গত শনিবার জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও তার কৃষি প্রকল্পের কাজে মাহিগঞ্জের আলুটারি এলাকায় গেলে মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন মুখোশধারী তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় ।