জেএমবি’র ভারপ্রাপ্ত আমিরসহ গ্রেপ্তারকৃত আটজন মধ্যপ্রাচ্যে আইএস ও আল কায়দার সাথে ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেপ্তারকৃতরা এ তথ্য দিয়েছে বলে ডিএমপির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও গ্রেফতারকৃতরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনায় হামলা করার পরিকল্পনা করছিল বলে স্বীকার করে। তারা আরও জানায়, ইতোপূর্বে তারা বেশ কয়টি হামলার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় সোমাবার সন্ধ্যায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের যৌথ অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) ভারপ্রাপ্ত আমিরসহ ৮ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার জানানো হয় গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাতুল মুজাহিদীন (জেএমবি) সংগঠনের বিভিন্ন প্রকারের পুস্তক, জিহাদী বই, জিহাদী লিফলেট, বিভিন্ন প্রকার জিহাদী সিডি, জঙ্গি প্রশিক্ষণ ভিডিও, ১০টি মোবাইল (যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের তথ্য ও ভিডিও ক্লিপ আছে) এবং একটি মোটরসাইকেল (রেজিঃ নং- ময়মনসিংহ- হ-১২-৩২৬৬) উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আবু তালহা মোহাম্মদ ফাহিম ওরফে পাখি, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ রহুল আমিন, মোঃ ইমদাদুল হক, রফিক আহম্মেদ ওরফে রয়েল, মোঃ মোস্তফা, মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ ও মোঃ আলী আশরাফ রাজীব।
কারাগারে আটক জেএমবি’র বর্তমান আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের অবর্তমানে তার ছেলে আবু তালহা মোহাম্মদ ফাহিম ওরফে পাখি জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়। ফাহিমের বিরুদ্ধে রাজশাহী ও হবিগঞ্জ জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ফাহিমের বড় ভাই মোহাম্মদ শামীম ২০০৫ সাল থেকে আটকের পর ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে বর্তমানে জেলে আটক রয়েছে। শামীম জেএমবি’র আইটি শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল।
গ্রেফতারকৃত অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।