ইসরায়েলিরা তাদের নিজ বাসভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকার রাখে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘দ্যা অ্যাটলান্টিকে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ কথা বলেন।
ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছে, সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ইসরাইলের তেল আবিবের মধ্য আরেকটি প্রত্যক্ষ যোগাযোগের ঘনিষ্ঠ সন্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
‘দ্যা অ্যাটলান্টিক’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, ইহুদি সম্প্রদায়ের তাদের পূর্বপুরুষের স্বদেশী রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতি অধিকার রয়েছে।
আমি আরও বিশ্বাস করি, প্যালেস্টাইনীরা এবং ইসরায়েলিরা তাদের নিজস্ব জমি দখল করার অধিকার রাখে। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করতে এবং স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে একটি শান্তি চুক্তি করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামের জন্মস্থান এবং পবিত্রতম স্থান ইসরাইল না, সৌদি আরব। ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে দখলকৃত আরব জমি থেকে ইসরায়েলিদের প্রত্যাহার করা হয়। এবং ইসরাইলের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কয়েক বছর লেগে যায়। তখন ভবিষ্যতের রাষ্ট্রের জন্য এক খণ্ড জায়গার খোঁজ করছিল প্যালেস্টাইন।
মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র ভূমি বলে স্বীকৃতি পেয়েছে জেরুজালেম। যদিও ফিলিস্তিনি শহর হলেও এখন জেরুজালেম ইসরায়েলের হাতে। তাই তাদের অধিকার এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আমরা ভাবছি।
এছাড়া আমাদের অন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও আপত্তি নেই। যারা যুক্তরাষ্ট্র সফর করে বিনিয়োগের জন্য এবং ইরানের বিরুদ্ধে প্রভাবিত করে। বর্তমানে তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার আকার ধারণ করেছে, ইরানিয়ান হুমকি মোকাবেলায় সৌদি আরব এবং ইসরাইলের একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান সৌদি যুবরাজ।
গত মাসে ইসরায়েলগামী বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য প্রথমবারের মতো আকাশসীমা খুলে দিয়েছে সৌদি আরব। পরে ফ্লাইট ১৩৯-এর উড়োজাহাজটি সাড়ে সাত ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রা শেষে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।