‘আসলে ইরেশের জন্ম হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরের শেষের দিকে। তো আমরা ভেবেছিলাম সারার(সারা যাকের) জন্মদিন যেহেতু ২১ অক্টোবর, হয়তো ইরেশ ওই দিনেই জন্ম নিবে। কিন্তু পেছাতে পেছাতে সে জন্ম নিল নভেম্বরের ৬ তারিখে, এবং সেটা আমার জন্মদিনেই!’
‘একই দিনে বাপ-ছেলের জন্মদিন’-বিষয়ে চ্যানেল আই ‘তারকা কথন’ অনুষ্ঠানে এভাবেই ছেলে ও অভিনেতা ইরেশ যাকেরের জন্মদিন নিয়ে বলছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক এমসিএলের কর্ণধার আলী যাকের।
চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘তারকা কথন’। অনন্যা রুমার প্রযোজনায় প্রতিদিন(শুক্রবার ব্যতিত) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে চ্যানেল আইয়ের স্টুডিওতে অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয়। কিন্তু সোমবার ‘তারকা কথন’-এর বিশেষ পর্বটি চ্যানেল আই কার্যালয় থেকে নয়, বরং সরাসরি সম্প্রচার হল এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশন্স লিমিটেড-এর কার্যালয় থেকে। উপস্থাপনায় ছিলেন দিলরুবা সাথী।
একইদিনে আলী যাকের ও তার ছেলে ইরেশ যাকেরের জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষ্যে তারকা কথনের বিশেষ এই পর্বটির আয়োজন করা হয়। তারকা কথনের সরাসরি অনুষ্ঠানে আলী যাকেরকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, রামেন্দু মজুমদার,সারা যাকের, ইরেশ যাকের, ইমামুল হক কিসলুসহ এশিয়াটিক লিমিটেডের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। সকলেই আলী যাকেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
শুভেচ্ছা বিণিময় ছাড়াও চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে সেখানে কেক কাটা হয়। প্রথমে বাবা আলী যাকেরের মুখে কেক তুলে দেন ছেলে ইরেশ। এসময় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আলী যাকের। কথা প্রসঙ্গে অতীত নিয়ে অতিথিদের সঙ্গে স্মৃতিও আওড়ান আলী যাকের।
অন্যদিকে অভিনয় ক্যারিয়ার ছাড়াও কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে একজন সফল বিজনেসম্যান আলী যাকেরের কথাও। এশিয়াটিকে এখন মোট ছয়’শ ত্রিশজন সদস্য কাজ করছেন। এরমধ্যে অনেকেই দশ, বিশ, ত্রিশ বছরের বেশী সময় ধরে কাজ করছেন। কিন্তু আলী যাকেরকে নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই। আর আলী যাকেরের মধ্যে ‘বসিং’ বিষয়টিও নেই বলেই অনুষ্ঠানে জানান এশিয়াটিকের সাধারণ সদস্যরা। বরং এটা নিয়েও আছে মজার বিষয়। একদিন আলী যাকের এশিয়াটিকের সবার কাছে একটি ই-মেইল পাঠালেন। যেখানে অফিসে কর্মরত সবার কাছে সুন্দর একটি চিঠিতে লিখলেন, কেউ যেন তাকে ‘বস’ সম্বোধন না করেন। সবাই যেন তাকে নাম ধরে ডাকেন। কিংবা সংক্ষেপে বলেন ‘এ জেড’!