চট্টগ্রাম থেকে: উদীয়মান ক্রিকেটারদের আসর ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ শেষ হলো শ্রীলঙ্কান যুবাদের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে। আট জাতির এই টুর্নামেন্টে রানার্সআপ পাকিস্তান। দলীয় সাফল্যের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের দিকে ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ। এই তরুণরাই যে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এশিয়ার ক্রিকেট ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল তার ধারণা পাওয়া গেছে এই টুর্নামেন্ট থেকে। পুরো আসরে প্রতিভার ছাপ রেখেছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তবে সবাইকে ছাপিয়ে ব্যাটে-বলে সেরা হয়েছেন চারিথ আশালঙ্কা ও উসামা মীর।
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান করেছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যান আশালঙ্কা। পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। পাক লেগস্পিনার উসামা মীর ১৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সর্বোচ্চ শিকারি। হংকংয়ের বিপক্ষে ৮ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৭ উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দেন ২১ বছরের এ তরুণ। ইমার্জিং কাপে স্পটলাইটে থাকা এ দুই তরুণ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফাইনাল শেষে চ্যানেল আই অনলাইনের মুখোমুখি হয়ে জানালেন নিজেদের স্বপ্নের কথা।
চারিথ আশালঙ্কা: বাংলাদেশ সফর মানেই আশালঙ্কার ব্যাটে রানের ফল্গুধারা। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে প্রথমবার এসেছিলেন। ১৭ বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নেতৃত্বে ছিলেন আশালঙ্কা। ৬ ম্যাচে তিন ফিফটিতে করেন ২৭৬ রান। দেড় বছরের মাথায় ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ খেলতে আবারো বাংলাদেশে। এবার টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান এলো এই বাঁহাতির উইলো থেকে। ৫ ম্যাচে ৩৩৮! এক সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটি। কেবল ফাইনালে রান পাননি। ৪ রানে আউট হয়েছেন। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার উঠেছে ১৯ বছরের সম্ভাবনাময় তরুণের হাতে।
সাবেকদের মধ্যে স্বদেশি কুমার সাঙ্গাকারা ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে বিরাট কোহলির ব্যাটিং ভালো লাগে আশালঙ্কার। হতে চান অমন বড় মানের ব্যাটসম্যান, ‘শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলে খেলা আমার স্বপ্ন। সে লক্ষ্যে ভালোভাবেই এগোচ্ছি। আমি খুশি এই টুর্নামেন্ট আমার জন্য ভালো গেছে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কুমার সাঙ্গাকারা ও বিরাট কোহলিকে অনুসরণ করি। তাদের মতো বড় মানের ব্যাটসম্যান হতে চাই। খেলতে চাই জাতীয় দলে।’
উসামা মীর: ২১ বছর বয়সী এ তরুণ পাকিস্তান ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির আবিষ্কার। সেখানে কোচিং করেছেন কিংবদন্তি লেগস্পিনার মুশতাক আহমেদের অধীনে। জেনেছেন লেগস্পিনের খুঁটিনাটি। উসামা বললেন, ‘মুশি ভাইয়ের (মুশতাক) কাছ অনেক কিছু জেনেছি। তার মত কিংবদন্তির কাছ থেকে শিখতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। যা শিখেছি সেটি মাঠে প্রয়োগ করে এগিয়ে যেতে চাই।’
ছয় ফুট উচ্চতার এই লেগস্পিনার এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পান পাকিস্তান দলে ইয়াসির শাহ ও শাদাব খানের অন্তর্ভুক্তি দেখে, ‘ইয়াসির শাহ একজন অসাধারণ লেগস্পিনার, সাদাবও খুব ভালো। তারা এখন খেলছে পাকিস্তান দলে। আমি চাই জাতীয় দলে খেলতে। জানি আরও পরিশ্রম করতে হবে। লেগস্পিনারের সবচেয়ে বড় ব্যাপার বোলিং করে যাওয়া উপভোগ করা। আমি উপভোগ করি। আমি বিশ্বাস করি একজন লেগস্পিনার নিজের দিনে একজন ম্যাচ উইনার।’