ব্রাদার্স ইউনিয়নের ছুঁড়ে দেয়া লক্ষ্যটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সেই লক্ষ্যকে সহজ করে ফেলেন ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক। জাতীয় দলের এ দুই ব্যাটসম্যানের কল্যাণে ২ উইকেট জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় অলরাউন্ডার দেবাশীষ দাসের ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১১২ রানের সুবাধে ৫ উইকেটে ২৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ব্রাদার্স। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অলক কাপালির সঙ্গে ৭৮ রানের পর পঞ্চম উইকেটে ইয়াসির আলির সঙ্গে ৯৯ রানের জুটি গড়েন শিলিগুড়ির এ অলরাউন্ডার। অলক ৪১ ও ইয়াসির আলি করেছেন ৫৪ রান। জুনায়েদ সিদ্দিকীর ব্যাটে এসেছে ৪৩ রান।
বড় রানের জবাবে ১৩ রানের মাথায় ওপেনার মেহেদি হাসানের উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। কিন্তু দলকে লক্ষ্যচ্যুত হতে দেননি জাতীয় দলের দুই তারকা ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক। দুজনেই পেয়েছেন অর্ধশতক। ইমরুল ৬৫ ও মুমিনুল ৫৭ রানে আউট হলে হঠাতই ছোট ধস নামে গাজীর ইনিংসে। এক পর্যায়ে ২৩৫ রানে ৮ উইকেট হারানো দলটিকে চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরেক ভারতীয় গুরকিট সিংয়ের অপরাজিত ৭১ রানের কল্যাণে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর ভেড়ায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। চলতি লিগে দলটির এটি দ্বিতীয় জয়। আর ব্রাদার্সের এটি তৃতীয় পরাজয়। পঞ্চম রাউন্ড শেষে দুদলের পয়েন্ট সমান ৪। ৫ ম্যাচের সবগুলো ম্যাচ জিতে সবার উপরে আবাহনী।