ক্রিকেট ছেড়ে প্রথমে রাজনীতিতে, পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ইমরান খান। ১৯৯২ সালে দেশটিকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়কের মতো রাজনীতিতে পা রেখেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
ক্রিকেটের বাইরে দুজনের ভবিষ্যৎ যাত্রা একইমুখি হলেও কখনোই ইমরান খানের মতো উচ্চাশা মনে লালন করেন না বলে জানিয়েন মাশরাফী। বিদেশি একটি সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সুযোগ পেলে খেলাধুলা ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়াই তার ইচ্ছা।
‘সত্যি বলতে ইমরান খান যে পর্যায়ে চলে গেছেন, চাইলেও খুব কম মানুষের পক্ষেই সে পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব। আমার ইচ্ছা খেলাধুলার জন্য কিছু করা। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার সামর্থ্য সীমিত। আমি আমার এলাকায় সম্ভব হলে ভাল কিছু করতে চাই।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মাশরাফী। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি ঘটেনি, মাশরাফীর ‘নড়াইল ফাউন্ডেশন’ এখনই আলোচনায়। নিজ এলাকায় হাসপাতালের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও কৃষকদের মাঝে উচ্চ-ফলনশীল ধানের বীজ দেয়াসহ খেলাধুলার উন্নয়নে কাজ করে সুনাম কুড়িয়ে চলেছে সংগঠনটি। মাশরাফী ক্রীড়া ও জনকল্যাণমূলক তেমন কাজই চালিয়ে যেতে চান।
মাশরাফীর নির্বাচনে অংশ নেয়ার খবর মেনে নিতে পারেননি অনেক ভক্তই। কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর ভালোবাসার মাশরাফী কেনো একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতিনিধি হবেন? এমন প্রশ্নও তেড়ে আসছে তার দিকে। শ্রদ্ধার আসনে থাকতেই অনেকের কাছে এখন সমালোচনার পাত্রও তিনি।
মাশরাফী বরাবরের মতই জানিয়েছেন এসব প্রশ্নে মোটেও বিব্রত নন তিনি। সরে আসবেন না রাজনীতির ময়দান থেকেও, ‘আমি আমার অবস্থান থেকে বলতে চাই, যারা রাজনীতিতে অন্য দল করেন কিংবা ভিন্ন মতে বিশ্বাসী, তাদের প্রতি আমার মোটেও অশ্রদ্ধা নেই। যদিও আমি আমার দলকে হৃদয় দিয়ে সমর্থন করি, তারপরও বলবো অন্যদের প্রতি আমার ১০০ ভাগ শ্রদ্ধা আছে।’
‘এটা এই কারণেই বলছি যে, আমি বিশ্বাস করি যে যা দল সমর্থন করে তার সেই সমর্থন করার অধিকারটা আছে। সত্যি বলছি, আমি আমার বিরোধী দলকে শ্রদ্ধা করি।’
একজন রাজনীতিবিদের কেমন যোগ্যতা থাকা উচিত সে বিষয়েও কথা বলেছেন মাশরাফী, ‘রাজনীতিবিদদের অবশ্যই যোগ্যতাসম্পন্ন এবং মানবতাবোধ সম্পন্ন হতে হবে। আমি বলছি না যে আমি ইতিমধ্যেই এমনটা হয়ে গেছি। নতুন প্রজন্ম খুব গভীরভাবে সামজিক অবক্ষয় দেখছে। আমার মনে হয় তাদেরও রাজনীতিতে আসা উচিত।’
ডেইলি মেইল অবলম্বনে