নানা নাটকীয়তার পরে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর পরে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রধান বিরোধী দলনেতার পদে থাকা শেহবাজ শরিফ। সোমবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে তা নির্ধারিত হতে পারে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে শেহবাজ শরিফের নাম উচ্চারিত হচ্ছে কিছুদিন ধরেই।
পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শেহবাজ। ৬৯ বছর বয়সি ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের লড়াইয়ে বিরোধীদের নেতৃত্ব দেন তিনি। আন্তর্জাতিক স্তরে সেভাবে পরিচিতি না থাকলেও পাকিস্তানের ঘরোয়া রাজনীতিতে দক্ষ প্রশাসক হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের ‘ভালো সম্পর্কে’ বিশ্বাসী শেহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ রয়েছে শেহবাজের। তার দাদা নওয়াজ শরিফের যা ছিল না। ঐতিহাসিকভাবে দেখা গিয়েছে ২২ কোটি মানুষের এই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ন্ত্রণ করে পাক সেনা। সেখানে পাক সেনার সঙ্গে সুসম্পর্ক ক্ষমতায় থাকার অন্যতম মূল চাবিকাঠি পাকিস্তানে।
একাধিকবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন শেহবাজ শরিফ। সেই সময় চীনের সিপিইসি প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে বেইজিংয়ের কর্তাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শেহবাজের।
শেহবাজ তিন দফায় ১২ বছর ধরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। পাঞ্জাবের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থানের পর শেহবাজকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে সৌদি আরবে নির্বাসিত করা হয়েছিল। তিনি ২০০৭ সালে দেশে ফিরে আসেন। ২০১৭ সালে প্রকাশিত পানামা পেপারসে নওয়াজ শরিফের নাম থাকার পর শেহবাজ পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ পার্টির প্রধান হন।