এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়া ইবাদত হোসেনের ফেরার অপেক্ষা দীর্ঘ হল। বুধবার লন্ডনে হাঁটুর সার্জারি হয়েছে টাইগার পেসারের। তাতে বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা একরকম শেষই হয়ে গেল।
অস্ত্রোপচার হলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগে কয়েকমাস। ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি মোটে একমাস। সেই সময়ের অন্তত সপ্তাহ দুয়েক আগেই স্কোয়াড চূড়ান্ত করতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)।
মাঠে ফিরতে ইবাদতের কতদিন লাগতে পারে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য জানায়নি বিসিবি। অতীতে দেখা গেছে যাদেরই হাঁটুর অস্ত্রোপচার হয়েছে, ফিট হতে লেগেছে ৬ মাসের কাছাকাছি। সেই অর্থে ধারণা করা যাচ্ছে ইবাদতের বিশ্বকাপভাগ্য।
অস্ত্রোপচার নাকি পুনর্বাসন? ডানহাতি পেসার ইবাদতের বেলায় বেছে নেয়া হবে কোনটা- এই নিয়ে ছিল দ্বিধা। শেষপর্যন্ত লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচারে গেলেন তিনি। তাতে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হারিয়ে গেল।
বুধবার সকালে লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার টেবিলে যান ইবাদত। সেখান থেকে ফেসবুকে লেখেন, ‘জীবনে প্রথমবার অপারেশন টেবিলে। আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ ভরসা।’
পরে বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অস্ত্রোপচারের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানায়। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘এসিএল হোক বা অন্যকোনো অস্ত্রোপচার, একেকজনের সুস্থ হওয়ার সময় লাগে একেকরকম। তাই আগে-ভাগেই বলা সম্ভব নয়, ইবাদতের ফিরতে কতদিন লাগবে। যিনি সার্জারি করেছেন, সেই সার্জনের কথা শুনে, তার বরাত দিয়ে আমরা ইবাদতের অবস্থা সম্পর্কে জানাব।’
গতমাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোলিং করার সময় চোট পান ইবাদত। ছিটকে যান ওই সিরিজ থেকে। এশিয়া কাপের আগেই ফিট হয়ে উঠবেন সে আশায় তাকে স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল। পরে তার জায়গায় সুযোগ পান তানজিম সাকিব। ইবাদতকে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডে।