ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪২জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত সাড়ে ৮শ’র বেশি মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম রয়র্টাস।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে আঘাত হানে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পটি।
মাত্র কয়েকদিন আগেই উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের শোক কাটতে না কাটতেই আবারো বিপর্যয় দেখলো ইন্দোনেশিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে যখন প্রায় সবাই ঘুমে, ঠিক তখনই আঘাত হানে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পটি। আতঙ্কিত মানুষ বেরিয়ে এসে খোলা জায়গায় অবস্থান নেয়।
এ ভূমিকম্পের উৎস ছিল মাজেনি শহরের ৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে মাজেনি শহরে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
সাত সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে ও ভূমিধ্বসে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাজেনি শহরের উত্তরাঞ্চলে একটি হাসপাতালের ভবন ধসে পড়ে ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বহু রোগী ও হাসপাতাল কর্মী। ধসে পড়েছে প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয়, হোটেল, শপিং মল।
ভূমিকম্পে সেতু ও ভূমিধসে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মামুজুর একটি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকায়। পশ্চিম সুলাওয়েসির দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা জানিয়েছে, মাজেনি শহর এবং পাশের মামুজু শহরে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভূমিকম্পে ৩ শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছে। ভিডিও বার্তায় দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা না হলেও ইন্দোনেশিয়ার মিটিরিওলজিক্যাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিকস এজেন্সি বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬টি আফটার শক হয়েছে যা সামনে আরও শক্তিশালী আঘাতে হানার পর সুনামিরও শঙ্কা তৈরি করতে পারে।
২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালু শহরে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভ‚মিকম্পের পর সুনামি দেখা দেয়। ওই ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।