ইন্দোনেশিয়ার সুন্দা প্রণালীর সঙ্গে উপকূলে সুনামির আঘাতে এ পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে অন্তত ৫৮৪ জন।
দেশটির ক্রাকাটোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সমুদ্রের তলদেশে ভূমিধস হওয়ায় ভূমিকম্প থেকে এই সুনামির উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ মোকাবেলায় সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দু’জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছে তারা। সুনামির আঘাতে ধসে গেছে কয়েকশ’ ভবন।
উপকূলবর্তী পান্ডেগলাং, সাউথ লাম্পাং এবং সেরাং এলাকায় হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সুন্দা প্রণালী ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জাভা সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযুক্ত করেছে। ফলে সুনামিতে আক্রান্ত হয়েছে দু’টো দ্বীপেরই উপকূলীয় অঞ্চল।
নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দুর্যোগ মোকাবেলায় সংস্থা। সংস্থাটি জনগণকে সতর্ক করে জানিয়েছে, পূর্ণিমার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বর্তমানে বেশি। এটিও সুনামির ঢেউ অনেক বেশি শক্তিশালী করতে ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, পরপর দু’টো ঢেউ আঘাত হানে উপকূল অঞ্চলে। প্রথমটি খুব বেশি শক্তিশালী না হলেও দ্বিতীয়টি ছিল অনেক বড়। প্রথম ঢেউয়ে তীরবর্তী এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় উপকূলের সবকিছু ভেসে গেছে।
ওই সময় প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই দৌঁড়ে পেছনের উঁচু বনভূমিতে উঠে যায়। যারা আগে বনে পৌঁছাতে পেরেছে তারাই বেঁচে গিয়েছে।