নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুলছাত্রী মোনালিসা আক্তার হত্যা মামলার আসামী আবু সাঈদকে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে আটকের পর দেশে আনা হয়েছে।
রোববার দুপুরে দীর্ঘ আটমাস পর আসামী আবু সাঈদকে দেশে নিয়ে আসার কথা জানান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃত আবু সাঈদ ফতুল্লা পশ্চিম দেওভোগ বড় আমবাগান এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, মোনালিসা হত্যা মামলার প্রধান আসামী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের পর দেশে ছেড়ে পালিয়ে গেছে নিশ্চিত হলে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এনসিবি শাখার মাধ্যমে ইন্টারপোলকে দিয়ে গ্রেফতার করার জন্য আবেদন করি। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে দুবাই পুলিশ চলতি মাসের ১৭ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে আসামী আবু সাঈদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সকল প্রক্রিয়া শেষে রোববার তাকে দেশে নিয়ে আসা হয়। অচিরেই আইনি কার্যক্রম শুরু করা হবে।
পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আবু সাঈদ বিয়ে করার জন্য দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসে। পাশের বাড়ির স্কুল ছাত্রী মোনালিসাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সাঈদের পরিবার। কিন্তু মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হননি মোনালিসার পরিবার। সাঈদ পাশের এলাকার ইভা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে।
দুই ফেব্রুয়ারি একা বাড়িতে পেয়ে মোনালিসাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে সাঈদ। পুলিশ পশ্চিম দেওভোগ বড় আমবাগানের বাড়ি থেকে মোনালিসার লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর আবু সাঈদ দুবাই পালিয়ে যায়। নিহত মোনালিসা আক্তার স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহীন বেপারীর মেয়ে। সে হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনায় নিহতের বাবা শাহীন বেপারী বাদী হয়ে আবু সাঈদকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করে।