চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে তারেক রহমান

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গ্রেফতারে ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে ইন্টারপোল নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন। হত্যাকাণ্ডের জন্যে তারেককে অভিযুক্ত করে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে ‘ওয়ান্টেড পারসন্স’ এর তালিকায় তার ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, বিচারের মুখোমুখি ও সাজা ভোগের জন্য তারেক রহমানকে খুঁজছে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ।

ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তারেক রহমানকে তারেক জিয়া হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, তার বয়স ৪৭, জন্মস্থান ঢাকা, চুল এবং চোখের রং কালো এবং উচ্চতা এক দশমিক ৬৮ মিটার। তারেক রহমান বাংলা এবং ইংরেজি ছাড়াও উর্দুতে কথা বলতে পারেন বলে ইন্টারপোলের রেড নোটিশে জানানো হয়েছে।

মামলার ৫২ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৯ জনই পলাতক। দুই হাজার আট সালের সেপ্টেম্বর থেকে লন্ডনে আছেন তারেক রহমান।

দুই হাজার চার সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলায় আদালতে মুফতি হান্নান এবং আরও এক জঙ্গির জবানবন্দিতে আসে তারেক রহমানের নাম। মামলার অন্যতম আসামী তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এর পর পরই গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, গ্রেফতার করে আদালতে আনা হলেও মামলার এ পর্যায়ে তারেক রহমানের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে না। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, ‘মামলায় প্রধান অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান আদালতে দেওয়া দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, গ্রেনেড হামলার কয়েকদিন আগে মোহাম্মদপুরের আল-মারকাজুল ইসলাম নামের এনজিওতে সমবেত হয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে তারা হাওয়া ভবনে যান। সেখানে তারেক রহমানের সাথে তাদের বৈঠকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন তারেক রহমান।’

ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হলে তার পরবর্তী প্রক্রিয়া নিয়েও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ‘তারেককে ইন্টারপোলের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হলে তার অভিযোগ প্রমাণের জন্য নতুন করে তদন্ত সম্ভব নয়। এমনকি আইনগতভাবে তার জবানবন্দি নেওয়ারও সুযোগ নেই। তবে আদালত চাইলে তাকে দুয়েকটি প্রশ্ন করতে পারেন।’