নেট নিউট্রালিটি বা ইন্টারনেট নিরপেক্ষতার নীতি রদ করতে চাওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছে গুগল, ফেসবুক, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিটের মতো টেক জায়ান্টরা।
এমনকি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রতিবাদি বার্তা প্রচার করে জনসমর্থন আদায়ে ব্যাপক সরব ডেটিং ও পর্নহাবের মতো পর্নো সাইটগুলো।
এজন্য সাইটগুলোর মার্কিন সংস্করণে নেট নিউট্রালিটি না থাকলে কী পরিস্থিতি হতে পারে এসব জানিয়ে নানাভাবে চলছে প্রচারণা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফেডারেল কমিউনিকেশন্স কমিশনের (এফসিসি) চেয়ারম্যান হিসেবে অজিত পাই’কে নিয়োগ দেন। এরপরই নেট নিউট্রালিটি বাতিল করতে শুরু হয় তোড়জোড়।
এফসিসি’র এমন উদ্যোগে এটিএন্ডটি এবং ভেরাইজনের মতো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) অতিক্ষমতাশালী হবে এবং সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ।
তাই সোচ্চার হয়েছে সচেতন ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-সংস্থা। ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশন এবং ফাইট ফর দ্য ফিউচারের মতো সংস্থাগুলোর অভিযোগ,‘নেট নিউট্রালিটির নীতিমালা রদ করা হলে আইএসপিগুলো মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা পাবে। গ্রাহকরা ইন্টারনেটে কী দেখবে, কী দেখবে না এটা তারাই ঠিক করে দেবে।’
এটা হতে দেয়া যায়না বলেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একজোট হয়েছে বলে জানানয় সংস্থাগুলো।
নেট নিউট্রালিটি বা ইন্টারনেট নিরপেক্ষতা কী
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ইন্টারনেটের সমস্ত ট্রাফিককে একই ভাবে সুবিধাপ্রদান করতে হবে। ব্যবহারকারী যে সাইটই দেখুক বা ব্যবহার করুক, তাতে সমান সুবিধা দিতে হবে। নেট নিউট্রালিটির মূল বক্তব্য এটাই। ইন্টারনেট পরিষেবার জন্মলগ্নে এই নিয়মই চালু ছিল।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুক, আইএসপি প্রতিষ্ঠান এটিএন্ডটি নিজেরাই নেট নিউট্রালিটি মানে না বলে বিতর্ক চলছে বেশি কিছুদিন ধরে। তারা নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যবহারকারীর নেট পছন্দকে।
বিশেষ করে বিতর্ক রয়েছে জাকারবার্গের ইন্টারনেট ডট অর্গ নিয়েও। নেট নিউট্রলিটি অ্যাক্টিভিস্টদের দাবি, ইন্টারনেট ডট অর্গ ধ্বংস করছে নেট নিরপেক্ষতা বা নেট নিউট্রালিটি। এতে বাছাই করা কিছু ওয়েবসাইট ছাড়া ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের একটা বড় অংশ থেকেই বঞ্চিত থেকে যাবে। কোন সাইট ব্যবহার করা হবে কোনটা নয়, সেটা ঠিক হবে ফেসবুকের হাত ধরেই। ফেসবুক হয়ে উঠবে মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহারের নিয়ন্ত্রক!