চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইন্টারনেটে মারাত্নক প্রতারক দল ‘সাকাওয়া বয়েজ’

মেয়ে সেজে প্রেমের অভিনয় করে ইন্টারনেটে প্রতারণা নতুন কিছু না। তবে ইন্টারনেটে প্রতারণা করার পেশা আফ্রিকাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে নতুন করে।

ইন্টারনেটে প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে টাকা, মূল্যবান সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা আফ্রিকার অন্যতম দরিদ্র দেশ ঘানায় অনেক বেড়েছে। ঘানায় এমন বহুল আলোচিত কুখ্যাত একটি দল হলো ‘সাকাওয়া বয়েজ’। হাসুয়া ভাষায় যার অর্থ দাঁড়ায় ‘ভিতরে রাখা’।

এই দলের সদস্যরা ইন্টারনেটে ভুয়া ছবি দিয়ে সংসারি মেয়ে হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করে এবং অনলাইনে যোগাযোগ করে তারা ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়া ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্ক করার ইচ্ছা প্রকাশ করে।

‘সাকাওয়া বয়েজ’ দলের এক সদস্য ডেভিড(ছদ্মনাম) বলেন, প্রথমে মেয়েলি কন্ঠে হ্যালো বলে কথা শুরু করি। এরপরপরই মাইক্রোফোন কাজ করছে না বলে অনুরোধ করি ম্যাসাজের মাধ্যমেই কথা চালিয়ে যেতে। অনেকদিন কথা চালিয়ে যাওয়ার পর প্রেমের সর্ম্পক তৈরি হলেই কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।

ডেভিড আরও বলেন, ‘আমি জানি এটা অপরাধ, কিন্তু কী করবো? এসব করে আমি অর্থ উপার্জন করি।’

ডেভিড তার কাজ সর্ম্পকে বলেন, অনেকে মনে করেন এটা সহজ কাজ। কিন্তু মোটেও তা নয়। অনেক ধৈর্য্য ধরে, স্মার্টলি কাজ করতে হয় শিকারের জন্য।

শিকার লক্ষ্যভেদ করেছে বলে মনে হবার পরেই প্রেমিকের কাছ থেকে বিভিন্ন দামি উপহার, নগদ টাকা, স্বর্নের গহনা চেয়ে বসে সাকাওয়া বয়েজ সদস্যরা। ইন্টারনেটের না দেখা মনের মানুষের আবদার রাখতে অনলাইনের প্রেম পাগল পুরুষগুলো সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই এসব প্রতারকদের ফাঁদে পা দেন। কখনও কখনও ব্যবসার চুক্তির টাকা লাগবে বলেও বড় অঙ্কের টাকাও হাতিয়ে নেন সাকাওয়া বয়েজ সদস্যরা।

সাকাওয়া বয়েজ সদস্যরা তাদের জাঁকজমকপূর্ণ কাপড়, গান বাজিয়ে দ্রুত গতির গাড়ি চালানোর জন্য যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছে। সাকাওয়া বয়েজ যখন খুব একটা পরিচিতি পায়নি তখন নাইজেরিয়ায় ইন্টারনেটের প্রতারকরা ‘ইয়াহু বয়েজ’ বলা হত। কিন্তু ঘানায় এখন সাকাওয়া শব্দটি বহুল পরিচিত।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও তারা ইমেইল এবং সামাজিক গণমাধ্যমের মাধ্যমে শিকার ধরতে সক্রিয়। ‘ইন্টারন্যাশনাল ওয়াচডগ দ্য গ্লোবাল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স ২০১২’ অনুসারে সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে সব থেকে এগিয়ে ঘানা।