বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই অনলাইনে থাকার সময় সাইবার বুলিংসহ অনিরাপদ পরিস্থিতির শিকার হতে পারে। টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনরের চালানো এক জরিপে দেশের কমবয়সীদের ইন্টারনেট ঝুঁকির এই চিত্র উঠে এসেছে।
সামান্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং সাধারণ জ্ঞানের ব্যবহারে এগুলো এড়ানো সম্ভব এই বার্তা দিতে দেশের স্কুলগুলোতে নিরাপদ ইন্টারনেট প্রচারণা চালাচ্ছে টেলিনরের বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। ব্র্যাকের সহায়তায় এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়া কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের আড়াইশ’রও বেশি স্কুলের ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে সচেতন করা করা হচ্ছে।
এই বছরের কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার রাজধানীর স্যার জন উইলসন স্কুলে ‘চাইল্ড অনলাইন সেফটি ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা ইন্টারনেটের সুবিধা ব্যবহারের জন্য অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
নতুন প্রজন্ম যাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নতুন দিনের পথচলার ইন্টারনেট নামের মহাসড়কে হাঁটতে পারে সেজন্যই এমন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলে জানান গ্রামীণফোনের নির্বাহী পরিচালক মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি।
তিনি বলেন: বিশ্বের ডিজিটাল বিপ্লবের সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থাকা এবং তরুণদের আত্মবিশ্বাসের সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, ইন্টারনেটে নিরাপদে থাকার দক্ষতা সম্পর্কে জানাতে এবং কীভাবে দায়িত্বশীলতার সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় এটা জানাতে আমরা দেশজুড়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে স্যার জন উইলসন স্কুলের অধ্যক্ষ সাবরিনা শাহেদ শিশুদের এই সময়ের প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিভাবকদের সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি বলেন: একটি স্কুল হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেয়া এবং পথ নির্দেশনা দেয়া আমাদের দায়িত্ব এং শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব হতে পারে। আমরা বিগত কিছুদিন ধরে ইন্টারনেটে নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছি। আজকে যে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে তা আমাদের এখানে এবারই প্রথম। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিপদ সম্পর্কে আরো সচেতন থাকে এবং দক্ষতার সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে সেজন্য এরকম উদ্যোগ নেয়া এই সময়ে সামাজিক দায়িত্ব।
কীভাবে ইন্টারনেটে নিরাপদে বিচরণ করতে হয় তা সহজে শেখাতে নিরাপদ ইন্টারনেট কর্মসূচি সাজিয়েছে গ্রামীণফোন ও ব্র্যাক। এ বছরের কর্মসূচির আগে গ্রামীণফোন নিরাপদ ইন্টারনেট কর্মসূচি নিয়ে দেশের ৫শ’টি বিদ্যালয়ের ৮০ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছায়। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রচারণার আয়োজন করার মাধ্যমে নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থী-অভিভাভবকের মাঝে গাইডবই বিতরণ করা হয়।