ইন্টারনেটবিহীন অবস্থায় গতকাল বুধবার সোয়া এক ঘণ্টা থাকার পরে ইন্টারনেট ফিরে আসলেও পুরোপুরি ঠিকঠাক হয়নি ইন্টারনেট ব্যবহারের পথ। কোনো কোনো সাইট পাওয়া যাচ্ছে আবার পাওয়া যাচ্ছে না, আবার একবার ইন্টারনেট আসলেও পরের ক্ষণেই তা আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে কাটছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দিন।
ইন্টারনেট ব্যবহারের এই বিড়ম্বনা আগামী দুই তিনদিনের মধ্যেই ঠিকঠাক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারী জেনারেল সরোয়ার আলম শিকদার বলেন, সবগুলো ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার কথা ছিলো না। শুধু কিছু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন, ফেসবুক, ভাইবার, ট্যাঙ্গো, হোয়াটসঅ্যাপ এসব বন্ধ করার কথা ছিলো। কিন্তু বন্ধ করার সময় আশেপাশের অনেকগুলো সেবাও বন্ধ হয়ে যায়।
সরোয়ার আলম আরো জানান, এখন দেখা যাচ্ছে যেসব যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলো ব্যবহারের জন্য বিকল্প পথ ব্যবহার করছেন সাধারণ ট্রাফিক। দেশের বাইরের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগের অনেকগুলো গেটওয়ে তাই ট্রাফিক একটি পথ না পেয়ে অন্যদিকে ফিরছে। ফলে একটু সমস্যা হয়তো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সেসব কাটিয়ে ওঠা যাবে।
একই কথা বললেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (আইএসপিবি)এর সভাপতি এম এ হাকিম। তার মতে, গতকাল দেড় ঘণ্টা মতো বন্ধ থাকার পরই মূলত আবার ফিরেছে ইন্টারনেট সেবা। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ট্যাঙ্গো, ম্যাসেঞ্জার এসব সেবা বন্ধ রয়েছে।
ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের জন্য একেক দেশে একেক ধরনের সার্ভিস ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করতে গিয়ে দেশের নিজস্ব ডোমেইন ব্যবস্থা ‘ডট বিডি’ও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আস্তে আস্তে যেগুলো বন্ধ রাখা প্রয়োজন, সেগুলো বাদে অন্যগুলো খুলে দেওয়া হয়।
সমস্যার সমাধান কতদিনে আসবে, এ প্রশ্নের জবাবে এম এ হাকিম বলেন, আদতে সেসব একটা র্যানডম প্রসেস। তাই এই সময়টা প্রয়োজন হচ্ছে সবকিছু ঠিকঠাক হতে। বিটিসিএলও এখন খানিকটা কাজ করছেন এই সমস্যার সমাধানে। হয়তো খুবই স্বল্প সময়ে আমরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
বিটিআরসির নির্দেশে গতকাল বুধবার ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিটিআরসি ও মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।