ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাটের ১০ শতাংশই ছাড় করে সর্বশেষ ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেট পাশের আগে এই ভ্যাট কমাতে ২১ জুন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রযুক্তিখাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সোমবার ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়।
ইন্টারনেটে ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করতে অর্থমন্ত্রীর নেয়া সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে মোস্তাফা জব্বার আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ‘তথ্য-প্রযুক্তি বান্ধব’ অর্থমন্ত্রী বলে অভিহিত করেছেন।
ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট কমানোর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং অর্থমন্ত্রীর সাড়া দেয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোস্তাফা জব্বার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: মন্ত্রী হওয়ার বহু আগে থেকেই বরাবরই ইন্টারনেটের ওপর থেকে ভ্যাট তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়কটি এই ইন্টারনেট। মন্ত্রী হয়েও ইন্টারনেটের ভ্যাট শূন্য শতাংশ করা হোক সেটাই চেয়ে এসেছি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বরাবরই তথ্য-প্রযুক্তির জন্য ইতিবাচক মানসিকতা দেখিয়ে এসেছেন। গতবারের বাজেটেও তিনি আমাদের সুপারিশ আমলে নিয়েছিলেন। এবারও তিনি ইন্টারনেটের ওপর প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমাতে আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন। সুতরাং আমার দেখা অর্থমন্ত্রীদের মধ্যে উনিই সবার চেয়ে বেশি তথ্য-প্রযুক্তিবান্ধব অর্থমন্ত্রী।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেটে নতুন করে ভ্যাট বাড়ানো না হলেও বিদ্যমান ভ্যাট কমানো হয়নি। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের অন্যতম দাবি ছিল ভ্যাটমুক্ত ইন্টারনেটের।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া জানায় অ্যামটব, বেসিস, বিসিএস, বিএমপিআইএ, আইএসপিএবি, বাক্য ও ই-ক্যাব। ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার সম্মিলিত দাবি ছিলো তাদের। তারা বলেছিলেন ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট-কর আরোপের মাধ্যমে সরকারের যে আয় সেটা ভ্যাট তুলে নিয়ে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এই ছাড়কে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
তাদের এই অবস্থানের সঙ্গে সব সময়ই একমত ছিলেন বর্তমান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী। সর্বশেষ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে অর্থমন্ত্রীর কাছ হতে ইন্টারনেটের এই ভ্যাট ছাড়ের প্রতিশ্রুতিও পেয়েছিলেন মোস্তাফা জব্বার।