চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইন্টারনেটবিহীন দমবন্ধ সোয়া এক ঘণ্টা

ইন্টারনেট না থাকলে প্রতিদিনের সাধারণ জীবন থেকে শুরু করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, ব্যাংকিংসহ ব্যবসা-বাণিজ্য আর স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা খাতে কি অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে সেটা বোঝা গেছে সোয়া এক ঘণ্টার ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের সময়। নাশকতার আশংকায় কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার অংশ হিসেবে সোয়া এক ঘণ্টা ইন্টারনেটবিহীন থেকে নতুন অভিজ্ঞতা পেয়েছে বাংলাদেশ।

মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল থাকার পর নাশকতার আশংকায় ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করতে বিটিআরসি নির্দেশ পাওয়ার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় পুরো ইন্টারনেট ব্যবস্থা। সারাদেশে প্রায় সোয়া এক ঘন্টা বন্ধ থাকার পরে আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করে সংযোগ।

ব্যক্তিগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হতাশা ও উদ্বেগ দেখা গেছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে। ইন্টারনেট না থাকায় বড় সমস্যায় পড়ে সব অনলাইন গণমাধ্যম। সেসময় তারা কোনো নিউজ আপডেট করতে পারেনি।

আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ভেতরেও ছিলো হতাশা। ইন্টারনেট না থাকায় নিজস্ব সার্ভার ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে। অল্প সময়ের জন্য বিঘ্ন ঘটে ব্যাংকিং লেনদেনে।

তবে সবার জন্য অবশ্য এরকম সমস্যা হয়নি।

ব্র্যাক ব্যাংকের চিফ ফিন্যান্সসিয়াল অফিসার পারভেজ সাজ্জাদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আমাদের নিজস্ব সার্ভার রয়েছে। আমরা নিজস্ব ‘এন্ট্রানেট’ ব্যবহার করি। তাই আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি।

‘তবে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ই-কমার্স, মোবাইল ব্যাংকিং, আরটিজিএস এবং রেমিট্যান্সভিক্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজে বিঘ্ন ঘটেছে।’

গার্মেন্টস সেক্টরের মার্চেন্ডাইজার শহিদুল ইসলাম খান বলেন, বিদেশী ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক কথাবার্তা থেকে শুরু করে চুক্তি পর্যন্ত সবই এখন হয় ইন্টারনেটে। প্রতি মুহূর্তে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ করতে হয়। সেক্ষেত্রে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট না থাকা একটা বিশাল সমস্যা, সেই সঙ্গে বিরাট ক্ষতিও।

একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শফিউল আলম তুহিন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমাদের কাজই ইন্টারনেটভিত্তিক। ইন্টারনেট ছাড়া আমরা তো অচল। এক ঘণ্টা কেন, এক মিনিটও আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শফিউলের মতো একই সমস্যার কথা বলেন আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত কবির হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের এমন অনেক কাজ আছে যেগুলো আজই দিতে হবে। কোনোভাবেই এই কাজ একদিন পরে দেয়ার উপায় নেই। সেক্ষেত্রে এক ঘন্টা ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে সেই কাজটা দিতে পারবো না। এটা আমাদের জন্য একটা বড় ক্ষতি।