নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা যেখানে ব্যাট হাতে রানের বন্যা বইয়েছেন, সেখানে টাইগার ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো ধুঁকছেন। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৪ রান। ইনিংস হার এড়াতে এখনো দরকার ৩০৭ রান। অপরাজিত আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। তারপরও ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ।
৪৮১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় আশা জাগানিয়া। টাইগারদের স্বস্তির শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে যেখানে থামেন, সেখান থেকেই শুরু করেন তামিম। ফিফটি তুলে নেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন সাদমান। তিনিও ফিফটির পথে এগিয়ে যান।
তবে ফিফটি ছুঁতে পারেননি এ ওপেনার। ক্ষণিকেই ভাঙে তার ধৈর্যের বাঁধ। নেইল ওয়াগনারের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাদমান। ফেরার আগে করেন ৫ চারে ৩৭ রান। তার আউটের জের না কাটতেই বোল্টের শিকার হয়ে মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিথুন দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে সফরকারীরা। বিনা উইকেটে ৮৮ থেকে তাৎক্ষণিক স্কোর হয়ে যায় ১১০/৩।
ভরসা হয়ে ছিলেন তামিম। দুর্দান্ত রিফ্লেক্স আর টাইমিংয়ে দারুণ খেলছিলেন। এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরেকটি তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে। কিউই বোলারদের চোখে চোখ রেখে ব্যাটিং চালিয়ে তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটি। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। টিম সাউদির বলে ডাক করতে যেয়ে ব্যাট উঁচিয়ে রেখেছিলেন, বল ব্যাটে লেগে উইকেটের পেছনে বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচে পরিণত হয়, ফিরতে হয় তামিমকে। ফেরার আগে ওয়ানডে মেজাজে ৮৬ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন এ ওপেনার।
তামিম ফিরলে সৌম্যকে নিয়ে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যোগ্য সঙ্গ পান তিনি। অধিনায়ক ধীরে চল নীতি গ্রহণ করলেও বেশ চড়াও ছিলেন সৌম্য। বাজে বল পেলেই করেছেন সীমানাছাড়া। শেষ পর্যন্ত তাদের জুটি অবিচ্ছিন্ন থাকে। ফিফটির দোরগোড়ায় আছেন সৌম্য। তিনি ৩৯ এবং মাহমুদউল্লাহ ১৫ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।
এর আগে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৭১৫/৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। ৪৮১ রানের লিড নেয় কিউইরা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২০০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন কেন উইলিয়ামসন। এটি তার লংগার ভার্সন ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। ১৬১ রানের ইনিংস খেলেন টম ল্যাথাম। এছাড়া ১৩২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন জিৎ রাভাল। মিরাজ-সৌম্য নেন ২টি করে উইকেট।