চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইনিংস পরাজয়ের পর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেরার চেষ্টায় প্রোটিয়ারা

বলছেন এলগার 

‘এটি (খারাপ পারফরম্যান্স) এমন কিছু যা আমি নিজেই আমার মাথা থেকে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি। আমি গতকাল রাতে এই চেষ্টা করছিলাম এবং এখনও তা পারিনি। আশা করি আগামী দুই-একদিনের মধ্যে আমি সক্ষম হবো।’

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস ও ২৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে সাউথ আফ্রিকা। এমন বাজে হারকে পেছনে ফেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চিত্রনাট্য বানানোর কঠোর চেষ্টা প্রোটিয়ারা করবে বলেই জানালেন দলটির অধিনায়ক ডিন এলগার।

টেস্টের প্রথম দিনেই ৪৯.২ ওভার ব্যাট করে ৯৫ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ৯০ বছর পর তারা নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে একশ রানের নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জায় পড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে টেনেটুনে পার করে একশ রানের গণ্ডি। যদিও দলীয় স্কোর ১১১ রানের বেশি আগাতে পারেনি।

সাউথ আফ্রিকার সব ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছে কিউই পেসাররা। অথচ পেস বান্ধব উইকেটে নিউজিল্যান্ড ১১৭.৫ ওভার ব্যাটিং করে ৪৮২ রানের বড় স্কোর ঠিকই তুলতে পেরেছিল। অতিথি দলের বোলাররা ১৫ ওভারের বেশি মেইডেন আদায় করতে পারেনি।

বিষয়টি নিয়ে হতাশ এলগার বলেন, ‘আপনি অতি মাত্রায় চেষ্টা করলে তত বেশি ব্যর্থ হবেন। উইকেটের দুই পাশ দিয়েই মারতে দেখাটা অধিনায়ক হিসেবে খুবই হতাশাজনক। এরকম পরিস্থিতিতে আপনি ফিল্ডিং পজিশন তৈরি করতে পারবেন না। এটা স্কিল ডিপার্টমেন্ট ও তার প্রয়োগের উপর নির্ভর করে।’

‘যখন উইকেটের দুই দিকেই রান হচ্ছিল, তখন চাপ তৈরি করা খুবই কঠিন। এটাই বাস্তব চিত্র হতে পারে তবে অজুহাত নয়। আমরা যথেষ্ট ধারাবাহিক ছিলাম না।’

টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে দলের জন্য ভালো হতো বলেও অভিমত এলগারের। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর কিউই ডেরায় বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে কোয়ারেন্টাইন ইস্যুকেও অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে নারাজ প্রোটিয়া অধিনায়ক।

‘আমি কোয়ারেন্টাইনকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করতে চাচ্ছি না। আমরা এখানে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। যদি এটি অজুহাত হয়, তবে তা ব্যবহার করার জন্য খুবই দুর্বল অজুহাত।’

খেলোয়াড়ি জীবনে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করেছিলেন সাউথ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচার। বিষয়টি ঘিরে সাউথ আফ্রিকা দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ অনেকদিন ধরেই ভারি হয়ে আছে। তবে এলগারের দাবি, মাঠের বাইরের ইস্যুর সঙ্গে বাজে পারফরম্যান্সের কোনো যোগসূত্র নেই।

তিনদিনেই টেস্ট হেরে যাওয়ার পর শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা অতিরিক্ত দুইদিনের ছুটি কাটাবে। প্রথম টেস্টে বাজে করার কারণ বের করার পাশাপাশি পরের ম্যাচের দল নির্বাচন নিয়েও চিন্তা ভাবনা চলবে বলে জানান এলগার।