খোঁচা খোঁচা দাড়ির আড়ালে আবেগটা লুকিয়ে রেখেছেন অনেকদিন। জয়ে যেমন নেই উচ্ছ্বাসের বাড়তি আস্ফালন, ঠিক তেমনি পরাজয়েও নির্লিপ্ততা অবাক করে অনেককেই। সেই আন্দ্রেয়া পিরলোই কিনা বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে কাঁদলেন অঝোরে।
বেরসিক টিভি ক্যামেরাও বার্সেলোনার বুনো উন্মাদনা ছেড়ে ফ্রেমে টেনে নিয়ে গেলো আন্দ্রেয়া পিরলোর কাঁদার দৃশ্যে। তার পর থেকেই কানাঘুষা ফুটবল পাড়ায়-ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেন ফুটবলের ‘প্রফেসর’ খ্যাত এ আজ্জুরি মিডফিল্ডার।
তাকে নিয়ে আলোচনাও কম হয়নি। তবে সব সম্ভাবনা উড়িয়ে স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে পিরলো জানিয়েছেন, সত্যিই কি তাই! কান্না মানেই ক্লাব ছেড়ে দেওয়া। আসলে এটা মোটেও ঠিক না। পরাজয়ের কারণেই আমি কেঁদেছি।
খেলোয়াড়ি জীবনের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে প্রাপ্তির খাতা কানায় কানায় পূর্ণ হলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জৌলুস পূর্ণ শিরোপা থেকে হাত ছোঁয়া দুরত্ব থেকেও তা না পাবার বেদনা তো থাকবেই। তবে এবার না হলেও, এসি মিলানে থাকতে দুইবার এই শিরোপা ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয়েছিলো তার।
ইউভেন্টাসের ডিরেক্টর জেনারেল জুজাপে মারোত্তা পিরলোর প্রসংশা করে বলেন, পিরলো ইতালির আগামী দিনের যুব ফুটবলারদের জন্য আইকোন। সে ইউভেন্টাসের জন্যও আইকোন হতে যাচ্ছে।
পিরলোর কান্না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনে করি পুরো মৌসুম ধরে সে ও তার সতীর্থরা যার জন্য চেষ্টা করেছে, তার খুব কাছ থেকে ফিরে আসাটা খুবই কষ্টের। আমার মনে হয় সে জন্যই কান্নার ঘটনা ঘটেছে।
বার্লিন ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ১-৩ গোলে হেরে ইউরোপ সেরার স্বপ্ন ভাঙে জুভদের।