শেষদিনে সম্ভাব্য তিনটি ফলই হতে পারত। পাল্লা ঝুঁকে ছিল ভারতের হারের দিকে, আর সবচেয়ে কঠিন ছিল তাদের জয়টাই। সেখানে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়ে একসময় জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে জয়ের সমান এক ড্র আদায় করে মাঠ ছেড়েছে রাহানের ভারত।
প্রথম দুই টেস্টে দুই প্রতিপক্ষ একটি করে জয় তোলার পর তৃতীয় টেস্টে ড্র আসায় সিরিজ ফয়সালা হওয়ার দৃষ্টি এখন ব্রিসবেনে। সেখানে ১৫ জানুয়ারি থেকে চার টেস্টের লড়াইয়ে শেষটিতে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-ভারত।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৩০০ তাড়া করে জিতেছে, এমন ইতিহাস নেই। সেখানে জিততে কেবল একদিনেই ভারতকে করতে হতো ৩০৯! সেটিও পঞ্চম দিনে। হাতে অক্ষত ছিল ৮ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ৩৩৮ রানে অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পরে ভারতকে প্রথম ইনিংসে থামিয়ে দেয় ২৪৪ রানে। লিড আদায় করে নেয় ৯৪ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩১২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
চতুর্থদিনের শেষ সেশন ও পঞ্চম দিনের পুরোটা মিলিয়ে জিততে ভারতের সামনে ৪০৭ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল অজিরা। ২ ওপেনারকে হারিয়ে ৯৮ রানে রাত্রি বিরতি কাটিয়ে শেষদিনে নামে সফরকারী দল।
নেমে দ্রুত ফিরে যান অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে (৪)। সেখান থেকে লড়াই জমিয়ে তোলেন চেতেশ্বর পূজারা ও রিশভ পান্ট। দুজনে যতক্ষণ জুটি বেধে ছিলেন, এমনকি জয়ের কথা ভাবাও অসম্ভব ছিল না ভারতের। তারা ১৪৮ রানের জুটি এনে দেন।
পান্ট ১২ চার ৩ ছয়ে ১১৮ বলে ৯৭ করে সাজঘরে হাঁটা দিলে আশার পালে ধাক্কা লাগে ভারতের। খানিক বাদে ২০৫ বলে ৭৭ করে পূজারাও ফিরে গেলে হারের শঙ্কা ফেরে সফরকারী ড্রেসিংরুমে।
এরপর শুধু শঙ্কাটাই কাটাননি হনুমা বিহারি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে ম্যাচে ড্র টেনে তবেই মাঠ ছেড়েছেন। হনুমা ১৬১ বল খেলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন, ১২৮ বলে ৩৯ করে অপরাজিত থাকেন অশ্বিন। দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে অজি বোলারদের হতাশ করেছেন ৪২.৪ ওভার। ভারত পৌঁছায় ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানে।