প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে দলটি।
দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ইতিহাস গড়ল ইংল্যান্ডের ক্লাবটি। প্যারিসে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। অবশ্য নিজেদের মাঠে গোলশূন্য বা ১-১ ড্র হলেও সেমি-ফাইনালে উঠত গত চার মৌসুমে দুটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতা দলটি।
গত তিন মৌসুমের ক্ষরা কাটিয়ে অনেকদিন পর সাফল্য পেলো সিটি। ২০১১-১২ মৌসুমে লিগ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পা রাখলেও সেবার গ্রুপ পর্বই পার হতে পারেনি তারা। পরের দুবার শেষ ষোলোর গণ্ডিতে আটকে যায় ইংল্যান্ডের দলটি।ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে নিজেদের পায়ে রাখে পিএসজি। গোলের প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে অতিথিরাই।
২০তম মিনিটে সুইডিশ ফরোয়ার্ড জাতান ইব্রাহিমোভিচের বাঁকানো ফ্রি-কিক দক্ষতার সঙ্গে পাঞ্চ করে ফেরান স্বাগতিক দলের গোলরক্ষক জো হার্ট। আধ ঘণ্টার মাথায় ডান পোস্টের বাইরে দিয়ে মেরে পেনাল্টি থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন সের্হিও আগুয়েরো। ডি বক্সের মধ্যে আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ডকে গোলরক্ষক কেভিন ট্রাপ ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
৭৬ মিনিটে দারুণ এক গোলে ইতিহাদের গ্যালারিতে উৎসবের ঢেউ তোলেন কেভিন ডি ব্রুইন। নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করে ফের্নান্দো আলতো টোকায় বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্রুইনকে।
বেলজিয়ামের এই মিডফিল্ডার বাঁকানো শটে নিশ্চিত হয় একটি গোল। একটু পরই এদিনসন কাভানির শট আটকে সিটিকে রক্ষা করেন হার্ট। ৮৫তম মিনিটে ইব্রাহিমোভিচ প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে সমতায় ফেরা হয়নি পিএসজির।