বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রজার ফেদেরার এখন ইতিহাসের সামনে। একমাত্র টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে অষ্টম উইম্বলডন শিরোপা জেতার অপেক্ষায় তিনি। একপাশে ইতিহাস, তার আরেক পাশে ক্যারিয়ারে প্রথমবার উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠা মারিন সিলিচ। রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় মুখোমুখি হবেন দুজন।
৩৬ ছুঁই-ছুঁই ‘বুড়ো’ ফেদেরার যেন এবারের উইম্বলডনে ফিরিয়ে এনেছেন তার যৌবনের স্মৃতি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে একটি সেটও না হারার রেকর্ড ধরে রাখেন সেমিতে। বলা হচ্ছে একটি নয়, তিনটি র্যাকেট নিয়ে মাঠে নামছেন তিনি!
তাতে দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষ। সেমিতে চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস বার্ডিখকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন এই কিংবদন্তি। সর্বাধিক গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী তারকা জয় পান ৭-৬(৭-৪), ৭-৬(৭-৪), ৬-৪ সেটে।
ফাইনালে পৌঁছেই একটি রেকর্ড প্রায় সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন ফেড-এক্স। সবচেয়ে বেশি ২৯ বার গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে পা রাখার কীর্তি এখন সুইস কিংবদন্তির। আগে থেকে সবচেয়ে বেশি ১৮টি গ্র্যান্ডস্লাম জেতার রেকর্ড তো আছেই। রোববার সেটা হয়ে যেতে পারে ১৯! সঙ্গে সবচেয়ে বুড়ো বয়সে উইম্বলডন জেতার রেকর্ডটাও বগলদাবা করার সুযোগ থাকছে।
তবে ফাইনালে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলছে। শুক্রবারের প্রথম সেমিতে স্যাম কুয়েরিকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম আর প্রথম উইম্বলডন ফাইনালে পা রাখেন মারিন সিলিচ।
সপ্তম বাছাই সিলিচ ৬-৭ (৬-৮) ৬-৪ ৭-৬ (৭-৩) ৭-৫ সেটে জয় পান।
মারিন সিলিচ ২০১৪ সালে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন। দ্বিতীয়বারের মতো কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনাল রোমাঞ্চের অপেক্ষায় আছেন। ক্রোয়েশিয়া থেকে সবশেষ ২০০১ সালে গোরান ইভানিসেভিক পুরুষ এককের ফাইনালে উঠেছিলেন। দেশের হয়ে ১৬ বছর বাদে এক কিংবদন্তির সামনে সিলিচ। পর্দার আড়ালে ইতিহাসও!