নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ। দলের নেতারা বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে বিএনপি বলেছে, সহায়ক সরকার ছাড়া শুধু রোডম্যাপ দিয়ে চলমান সংকটের সমাধান হবে না। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই বলেও অভিযোগ বিএনপির।
রোববার সকালে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর আগামী মাসে ইসি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপে বসবে ইসি। সরকারি দলের নেতারা মনে করছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সঠিক ভাবেই এগোচ্ছে ইসি। তবে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে আসা বিএনপি নেতারা এই রোডম্যাপে মোটেও আশাবাদি নন।
আওয়ামী লীগ অবশ্য বলছে, এই রোডম্যাপেই নির্বাচন হবে আর সেই নির্বাচনে বিএনপিও অংশ নেবে। কিন্তু বিএনপি বলেছে, সহায়ক সরকার ছাড়া এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবে না তারা।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন যেদিন সিডিউল ঘোষণা করবে, তারপর থেকে এই অন্তবর্র্তীকালীন দলটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং তাদের কাজ হবে দৈনন্দিন কার্যকলাপ সম্পাদন করা। কিন্তু মূল কাজটা করবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি আরও বলেন, তারা (নির্বাচন কমিশন) নিষ্ঠা, সততা এবং দক্ষতার সাথে নির্বাচন পরিচালনা করবে। ক্ষমতাসীন সরকার তারা নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তারা নির্বাচনী যে রোড ম্যাপ ঘোষণা করেছে আমার মনে হয় তা বাস্তব সম্মত। তাই সকল দলেরই উচিত হবে তা গ্রহণ করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচনের জন্য একটি সহায়ক সরকার প্রয়োজন। এই সহায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা সব থেকে বড় প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কিন্তু সেই দিক থেকে আলোচনা না করে যে রোডম্যাপ দেয়া হয়েছে, তাতে সমস্যার কোন সমাধান হবে না, সংকট নিরসন হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখনও সভা করার অনুমতি পাইনা, আমাদের চেয়ারপারসন গতকাল বিদেশে গেলেন, নেতা-কর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাকে বিদায় জানিয়েছে। এরকম একটা পরিস্থিতি-পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচনের আদৌ কোন পরিবেশ আছে কি না সেটাও তো আগে দেখতে হবে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: