ইতালির প্রকাশনী থেকে বের হওয়া প্রবাসি বাংলাদেশি লেখিকার বই সেরা নির্বাচিত হয়েছে। ইতালীর তুরিনো শহরে জমকালো আয়োজনে উদযাপিত আন্তর্জাতিক বইমেলায় সেরা হয়েছেন শরীয়তপুরের মেয়ে তাহমিনা ইয়াছমিন শশী। তিনি গতবারের মেলায় চার হাজার লেখকের মাঝে সেরা দশ লেখকের একজন নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উৎসবমুখর এই বইমেলা ৩১ বছর যাবৎ তুরিনো শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ইতালীয় ভাষায় যার নাম হচ্ছে সালোনে ইন্টারন্যাজনালে ডি লিবরো ডি তুরিনো। ড্যানিয়েলা ফিনোচির হাত ধরে ২০০৮ সাল থেকে এই বইমেলার যাত্রা শুরু। বিভিন্ন দেশের প্রকাশনী অংশ নিলেও বাংলাদেশের কোন প্রকাশনা সংস্থা এতে অংশ নেয়ননি। এবারের বইমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইতালী, আফ্রিকা, ভারত,আফগানিস্তান, মরোক্কো, চীন, পলোনিয়া, জার্মানি। এসব দেশসহ আরো অসংখ্য দেশের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আনন্দ মুখর হয়ে উঠেছিল বইমেলা।
তাহমিনা ইয়াসমিন শশী বলেন, এটি আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের জন্যও গর্বের। কারণ এই আয়োজনের ৩১ বছরে বাংলাদেশের কেউ পুরস্কার অর্জন করেনি। এত প্রতিযোগীর মধ্যে সহজ ছিলনা বিভিন্ন দেশের লেখকদের মধ্যে বিজয়ী হওয়া। গতবার সেরা দশে ছিলাম। এবার সেরা হয়েছি। আশা করছি আগামী মেলায় বাংলাদেশের প্রকাশকরা অংশ নেবেন।
আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০০৮ সাল থেকে শুরু করেছিল ভিন্ন দেশীয় ভাষাভাষীর লেখক এবং সাংবাদিকদের নিয়ে এক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের। ১০ বছরে বিশাল আকার ধারণ করেছে এই বই মেলা। ক্যাটলিকা স্যাক্রো ডি কুয়েরো বিশ্ববিদ্যালয়ে গণমাধ্যম বিভাগে পড়াশোনা করছেন লেখিকা শশী।
ইতালীর এক বিখ্যাত প্রকাশনী গুইরা এডিজোনি থেকে প্রকাশিত বইয়ের জন্য সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এ সাফল্য আসল। তিনি ইতালীতে ইমিগ্রেশন অফিস, ট্রাইব্যুনাল, পুলিশ স্টেশন, হাসপাতাল, এবং স্কুলে অনুবাদকের কাজ করেন।