সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, শাহাজাদপুর ও তারাশ উপজেলায় রয়েছে শতাধিক ইটভাটা। ইটের প্রধান উপকরণ দোঁআশ মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে উর্বরা ফসলি জমি থেকে। স্থানীয় কৃষকেরা জানান আগে বিভিন্ন সব্জিসহ তিন চারবার ফসল করা গেলেও এখন তা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
কৃষি কাজ কমে আসায় একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষক অন্যদিকে বেকারত্ব সৃষ্টি হচ্ছে কৃষি শ্রমিকের। ফসলি জমির প্রাণ মাটির উপরিভাগে কেটে নেয়ায় মাটির উর্বরতা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওমর আলী শেখ বলেন, এই বিষয়টি আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা কৃষকদেরকে মটিভেট করছি। যাতে কৃষক এইটা বুঝতে শিখে যে তার এই মাটিটা হলো মূল্যবান মাটি। এই মাটিটা যাতে তারা বিক্রি না করেন।
কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটা নির্মাণ বন্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় উপজেলা নির্বাহী অফিস। উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সরকার বলেন, পাঁচটি ইটভাটা তহসিলদার সাহেবসহ আমরা গিয়ে বন্ধ করে দিয়ে এসেছি। পাঁচটি ইটভাটা এই মুহুর্তে বন্ধ আছে। আর মোবাইল কোর্টেও আমরা নামবো।
মাটির উপরিভাগে কাটা জমিগুলো আগের অবস্থায় ফিরে আসতে দশ থেকে বারো বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।