ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নানা সময়ে লড়েছেন ইনজুরির সঙ্গে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের আগেই ছিল হাঁটুর চোট। তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদ গত তিন মাস ভুগেছেন মেরুদণ্ডের ব্যথায়। ইনজেকশন পুশ করার পর সুস্থ হয়ে বল হাতে নিয়েছেন নতুন উদ্যমে। তবে ইনজুরি নিয়ে আক্ষেপ বেদনাতেই ডুবিয়ে রেখেছে তার মনকে।
বিপিএল দিয়ে আলোয় এসেছিলেন তাসকিন। চোটের কারণেই পরে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের জন্য অপেক্ষাটা দীর্ঘ হয়। একেক সময়ে একেক ধরণের ইনজুরিতে টানা খেলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেটা নিয়ে চাপা কষ্টের কথা বেরিয়ে এলো তাসকিনের কণ্ঠেই।
‘ইচ্ছা তো করে দেশের হয়ে সব ম্যাচ খেলতে। সব জায়গায় সব ম্যাচ খেলি। ইনজুরড থাকলে তো কিছুই করার থাকে না। বাংলাদেশ দল যখন টেস্ট খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গেল, আমি ইনজুরির কারণে যেতে পারলাম না। ওই দিনটায় আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল। হয়ত বাসায় অনেকসময় বুঝতেও দেই না। আমার কারণে দেখা যায় ফ্যামিলির সবার মন খারাপ হয়ে যায়। চেষ্টা করি ফ্যামিলি ঠিক রাখার। আমি বিশ্বাস করি কঠোর পরিশ্রম সবকিছু পূরণ করতে পারে।’
সোমবার দুপুরে তাসকিন মিরপুরের একাডেমি মাঠের নেটে শর্ট রানআপে বল ছুঁড়েছেন ২৬টি। তিন মাস পর বল করে স্বস্তি ফিরেছে এই পেসারের। ৪ ওভার বোলিং করার কথা থাকলে দুটি বল বেশি করেছেন কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই। স্পেল শেষ করে বোলিং নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানালেন ফিজিওকে।
গত ২ এপ্রিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ বোলিং করেছিলেন তাসকিন। ২ জুলাই এসে আবার বল করলেন। পরে তিন মাস পর বোলিং করতে পারার অনুভূতি ও সামনের করণীয় জানালেন।
‘আজকে তিন স্টেপে, মানে শর্ট রানআপে বোলিং করলাম। সমস্যা হয়নি। চার ওভার বোলিং করলাম। জিম, রিহ্যাব, ট্রিটমেন্ট সবই করে যাচ্ছি। ইনজেকশন দেয়ার পর একটু চিন্তিত ছিলাম। এখন আসলে অনেককিছু করতে হবে। যেমন ফুল রানআপে বোলিং করতে হবে। কিছু ট্রেনিং করতে হবে। তারপর বোঝা যাবে অবস্থানটা কেমন। এখন পর্যন্ত ভালোই যাচ্ছে। আশা করি ভালোই থাকবে।’
‘এই সময়টায় টিভিতে খেলা দেখছি। সিনিয়র কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছি সুযোগ হলেই। আসলে যে জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে তা মনস্থির করেছি। যেমন ফিটনেস আরও উন্নত করা, স্কিল ও ভ্যারিয়েশন আরেকটু বাড়ানো। পারফেকশন আনা। সামনে যেন আরও পরিপূর্ণ বোলার হতে পারি সেজন্য।’ -যোগ করেন তাসকিন।
শ্রীলঙ্কায় নিধাস ট্রফি খেলার সময় মেরুদণ্ডের নিচের অংশে চোট পান তাসকিন। দেশে ফিরে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করে চিকিৎসার আওতায় আসেন। চলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। ফর্ম ও ইনজুরির কথা ভেবে তাকে আফগান সিরিজের দলে রাখেননি নির্বাচকরা। পুরোদমে বোলিং শুরু করতে না পারায় শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দলেও বিবেচিত হননি তাসকিন।