যুদ্ধ তাহলে শুরু হয়ে গেছে! পিএসজিতে নেইমার বনাম কাভানির মধ্যকার ‘ক্ল্যাশ অব দ্যা টাইটান্স’র ঢেউ ফ্রান্স ছাড়িয়ে আছড়ে পড়ছে ব্রাজিল-উরুগুয়ের সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও। উরুগুইয়ান মিডিয়া আপাতত চুপচাপ থাকলেও ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমগুলোতে ইতিমধ্যেই খলনায়ক হয়ে গেছেন কাভানি। এমন অবস্থায় কী করবেন সুয়ারেজ সতীর্থ? একটা সমাধান নিজে থেকেই বের করেছেন। আর তা হল শান্তির পতাকা উড়ানো।
নিজ দেশের রেডিও ইউনিভার্সালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার কণ্ঠে ঝরেছে নরম সুর। জানালেন অবস্থা পুরোপুরি শান্ত, ‘আমি জানি না লোকে কেন এসব গল্প বিশ্বাস করে। আসল সত্য হচ্ছে এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত। ফুটবলে মাঝে মাঝে এসব ঘটনা ঘটেই। সত্য কথাটা হচ্ছে এখন আর কোনও সমস্যাই নেই।’
তাহলে কী নেইমারের আধিপত্য মেনে নিচ্ছেন কাভানি? উরুগুইয়ান তারকার বক্তব্য কিন্তু ইঙ্গিত দিচ্ছে সেরকমটাই, ‘নেইমার মাত্রই পিএসজিতে খেলা শুরু করেছে। এখানে সে আরও উন্নতি করবে। আমি শুরু থেকেই বলে এসেছি আমরা সবাই নেইমারের ব্যাপারে ইতিবাচক এবং তাকে সবরকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত। আমার মনে হয় সে দ্রুতই মানিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।’
কাভানির কণ্ঠে যখন শান্তির বার্তা তখন বিতর্ক থেকে নেইমারকে দূরে রাখতে সমস্ত দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন আলভেজ। তিনি নিজেই ফ্রি-কিক নিতে চেয়েছিলেন বলে কাভানির কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়েছেন। আলভেজ জানাচ্ছেন, ‘আমি এরকম জায়গা থেকে আগেও গোল করেছি। বিশ্বাস ছিল গোল করতে পারবো।’
পুরো দলকে বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছেন না আলভেজ, ‘দেখুন কে শট নিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। দলের জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
কাভানির জন্য এই সমস্যাটা নতুন নয়। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গেও ক্ষমতার দ্বন্দ্বে একাধিকবার জড়িয়েছিলেন তিনি। এবার জড়ালেন নেইমারের সঙ্গেও। তবে বাস্তবতা এবার ভিন্ন! ইব্রাহিমোভিচ তার ব্যক্তিত্ব গুণে পিএসজির ড্রেসিংরুম শাসন করে গেছেন। নেইমার কি সেটা পারবেন?