ইকুয়েডরের একটি কারাগারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ জন। দেশটির গুয়াইয়াস প্রদেশের গুয়াইয়াকুইল শহরের পেনিটেনসিয়ারিয়া দেল লিটোরাল কারাগারে মঙ্গলবার ওই সংষর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় আহত হয় অর্ধশতাধিক মানুষ। কারা কর্তৃপক্ষের বরাতে বিবিসি বলছে, ইকুয়েডরের কারা ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা।
সহিংসতার সময় অন্তত পাঁচজনকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়। বাকিদের মারা হয় গুলি করে। ওই ঘটনার পর রাজ্যটির গভর্নর পাবল আরোসেমেনা আইন রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার জেনারেল ফাউসতো বুউনানো বলেছেন, কারাবন্দীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হতাহতের গ্রেনেডও ছুড়ে মারা হয়েছিল।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো এক টুইট বার্তায় এই ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার তাগিদ দিয়েছেন।
গুয়াকুইলের ওই কারাগার নিয়ন্ত্রণ আনতে এরইমধ্যে ৪০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারাবন্দীদের অধিকাংশই বৈশ্বিক মাদক ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকান মাদক চালানের এ বড় ক্ষেত্র হচ্ছে ইকুয়েডর।
গত জুলাইয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট লাসো বলেছেন, ইকুয়েডরের কারাগারে ধারণক্ষমতা চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি বন্দী বসবাস করতো।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এ সহিংসতা লস লোবোস এবং লস চোনেরোস কারাগারের গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধের কারণে ঘটেছে। সহিংসতায় গুলি, ছুরি ও বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। গত কয়েক মাসে এ কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী দাঙ্গার ঘটনা ঘটে।
ইকুয়েডরের কারাবন্দীদের সঙ্গে মেক্সিকোর মাদক গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র বিরোধ রয়েছে। গুয়াকুইল, ইউয়েডরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। নগরটিতে আমেরিকান কোকেইনের বিশাল বাণিজ্য রয়েছে।
দু’সপ্তাহ আগে গুয়েকুইল কারাগারে চারজন ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। ২০২০ সালে দেশটিতে ১০৩ কারাবন্দীকে হত্যা করা হয়েছিল।
দেশটির কারাগারে ৩৯ হাজার কারাবন্দী আছে। চলতি বছর জুলাইয়ে দুটি কারাগারে দাঙ্গায় ২৭ জনকে হত্যা করা হয়েছিল।