মানবপাচারের সঙ্গে দেশের ভেতরে অন্তত ২০টি সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। বিদেশে বসে সিন্ডিকেটগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশিরা।
দেশের যে জেলাগুলো থেকে প্রবাসীর সংখ্যা বেশি, চক্রগুলো ওইসব জেলাকে ঘিরে বেশি সক্রিয়। অভিযানে মানবপাচারকারী চক্রের কিছু সদস্য ধরা পড়লেও বড় হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তিউনিসিয়া সীমান্ত দিয়ে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে গত ১০ই মে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ১৫ জন প্রাণ নিয়ে ফিরতে পেরেছেন। ইতালীতে পাঠানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে ৮-১০ লাখ করে টাকা নিয়েছিলো মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিলেট-নোয়াখালী, শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর অঞ্চলের মানুষদের ইউরোপে যাওয়ার ঝোঁক বেশি। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে ওই অঞ্চলগুলো জুড়ে গড়ে উঠেছে মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের গন্তব্য লিবিয়া। আর এই লিবিয়া যেতে তিনটি পথকে বেছে নেয়া হচ্ছে।
ওই পথগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ থেকে বিমানে ইস্তাম্বুল হয়ে লিবিয়া, বাংলাদেশ থেকে ভারত-শ্রীলংকা-ইস্তাম্বুল হয়ে লিবিয়া এবং বাংলাদেশ থেকে দুবাই হয়ে জর্ডান দিয়ে লিবিয়ার বেনগাজী হয়ে ত্রিপোলী।
র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, লিবিয়া থেকে বড় জাহাজ দিয়ে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দেয়ার কথা বললেও মূলতঃ বাতাস দিয়ে ফোলানো নৌকায় লিবিয়া থেকে ইতালী বা গ্রীসে পাঠানোর চেষ্টা করে মানবপাচারীকারী চক্র।
সম্প্রতি মানবপাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এদের মধ্যে এনামুল হক সিলেট ইয়াহিয়া ওভারসিজ নামের ট্রাভেল এজেন্সির মালিক, অন্য দু’জন দালাল।
র্যাব বলছে, ভূমধ্য সাগরে নৌকাডুবিতে নিহত কয়েকজন বাংলাদেশিকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া পাঠিয়েছিলো এই চক্র।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: