ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন পর্তুগালের অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ ওয়েলস তারকা গ্যারেথ বেল এবং স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের ফরাসি তারকা অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানকে পেছনে ফেলে এই পুরস্কার জেতেন তিনি। পর্তুগিজ তারকা পেয়েছেন ৪০ ভোট। আর গ্রিয়েজম্যান ও বেল পেয়েছেন ৮ ও ৭ ভোট।
আর গত মৌসুমের সেরা গোলের পুরস্কার উঠেছে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির হাতে।
বৃহস্পতিবার রাতে মোনাকোতে শুরু হয় চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানেই ঘোষণা করা হয় বিজয়ীর নাম। দ্বিতীয়বারের মতো রোনালদোর হাতে উঠলো এই পুরস্কার। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার হাতে নিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী রোনালদো। সেই সাথে মেসির সাথে স্কোর সমান করলেন সিআর সেভেন। মেসিও দুবার জিতেছেন এই পুরস্কার।
ইউরোপের সাংবাদিকদের ভোটে প্রতি বছর মহাদেশের ক্লাবগুলোয় খেলা ফুটবলারদের মধ্যে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আগের মৌসুমে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক দুই পারফরম্যান্সই বিবেচনা করা হয়।
উয়েফার বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে রোনালদো এগিয়ে থাকবেন এটা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে পর্তুগালকে শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। ক্লাবের হয়ে জিতেছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। এমন দুর্দান্ত পারফর্মে মৌসুম শেষ করা রোনালদো ফেভারিট হিসেবেই ছিলেন তালিকায়।
রোনালদোর ক্লাব সতীর্থ বেলকেও পিছিয়ে রাখা যায়নি। রোনালদোর সঙ্গে গত মৌসুমে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। আর নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোয় খেলতে নেমে ওয়েলসকে সেমিফাইনালে তুলতে দেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বেল।
ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফার ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে মেসির সঙ্গে বাদ পড়েন তার ক্লাব সতীর্থ উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। আগেই এই তালিকায় ছিলেন না ব্রাজিলের অধিনায়ক নেইমার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এএস রোমার বিপক্ষে করা গোলের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন মেসি। রোমার গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়েছিলেন তিনি। বার্সা ম্যাচ জিতেছিল ৬-১ গোলে।