বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করার জন্য ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। জার্মানীর হ্যানোভার সিটিতে আয়োজিত সিবিট মেলায় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেয়া বক্তৃতায় সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথা বলেন।
বিনিয়োগকারীদের উদ্যেশে জয় বলেন, গত সাত বছরে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটেছে। বিনিয়োগ অব্যাহত থাকলে এই খাতকে ঈর্ষনীয় জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
মেলার দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার মেলায় উপস্থিত ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং আয়োজনের সহযোগী দেশ সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ইয়োহান নিকোলাস স্নাইডার। এই মেলায় প্রথমবারের মত অংশ নিলো বাংলাদেশ।
সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে বাংলাদেশী প্যাভিলিয়ন ছাড়াও ১০ টি স্টল অংশ নেয়। তারা বাংলাদেশ কেনো তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য উর্বর ক্ষেত্র তা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সামনে উপস্থাপন করেন।
‘বাংলাদেশ: দ্য নেক্সট আইসিটি ডেসটিনেশন’ শিরোনামে বিনিয়োগকারীদের সামনে সজীব ওয়াজেদ জয় তার উপস্থাপনায় দেশের তথ্য প্রযুক্তি , বিদ্যুৎ সেক্টর ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, ইতোমধ্যে সরকার মেট্রোরেল, গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, ডিজিটাল আইল্যান্ড, টায়ার ফোর ডেটা সেন্টার এবং ইন্টারনেট ফোরজি’র সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রকল্পগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে সজীব ওয়াজেদ বলেন, হ্যাকারদের অন্যতম টার্গেট এখন বাংলাদেশ। এর কারণ ডিজিটাইজেশন। আর সরকার এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ডিজিটাল অর্থনীতির সংক্ষিপ্ত রূপ ‘ডিকোনমি’ শব্দটিকে মূল বিষয় ধরে জার্মানির হ্যানোভার শহরে এবার শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি মেলা সিবিট-২০১৬। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কাঠামোকে ডিজিটাল করে কীভাবে আরও সহজ ও বাস্তবসম্মত করা যেতে পারে, সেসবের উপস্থাপনা দেখানো হয় এই তথ্যপ্রযুক্তি মেলায়।
১ লাখ ৭৫ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে আয়োজিত ৩১তম সিবিট মেলার ২৮টি হলে অংশ নিয়েছে ৭০টি দেশের ৩ হাজার ২০০ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান।
পাঁচ দিনের এ মেলা ১৪ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। শেষ হবে ১৮ মার্চ।