ইউপি নির্বাচনে কারচুপি ঠেকাতে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ। পক্ষপাতমূলক অবস্থানের বিষয়েও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন সিইসি। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই বলেও বিএনপিকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে সারাদেশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য সকালে আগারগাঁয়ের পরিকল্পনা কমিশনে প্রশাসন এবং আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন।
তিন ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে সিইসি জানালেন, দলীয় প্রতীকে তৃণমূলের এই নির্বাচন করা দুরুহ হলেও বির্তকমুক্ত নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থার কমতি রাখবে না ইসি। তবে নির্বাচন যেনো কোনোভাবেই বির্তকিত না হয় সেজন্য পুলিশকে তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ বলেন,‘ দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে যারা কেন্দ্রে পাহারার দায়িত্বে থাকবেন তারা কেন্দ্র দখল এবং কারচুপি ঠেকাবেন। কারচুপির চেষ্টা হলে অস্ত্রধারী আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারীরা প্রথমে ব্যবস্থা নেবেন। কোনো কারচুপির ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। তাদেরকে পুলিশ প্রতিহত করবে। শেষ বুলেট দিয়ে হলেও প্রতিহত করতে হবে’।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ নাকচ করে সিইসি বলেন, সরকারী দলের হয়ে নয়; বরং সব দলের হয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কাজ করছে ইসি।
সিইসি বলেন,‘ আলহামদুলিল্লাহ, বিএনপি বলেছে আমাদের সদিচ্ছা আছে। আমরা চাই সবাই এটা জানুক আমাদের সদিচ্ছা আছে। কোনো চাপ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে কোনোরকম চাপ আসেনি। কোনো ফোন আসেনি আমার কাছে’।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে অনিয়ম ঠেকাতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার সিদ্ধান্তও নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বাগেরহাটের ৩৪ ইউনিয়নে সরকারী দলের ৩৪ জন চেয়ারম্যানের নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে সিইসি বলেছেন, কোনো দল এ বিষয়ে আপত্তির পক্ষে প্রমাণ দিতে পারলে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।