ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট মনোনয়নপ্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটনকে জড়িয়ে একটি কথিত খবরে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনুস সেন্টার।
বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরণ করা এক বিবৃতিতে ইউনুস সেন্টার জানিয়েছে ওই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে যে প্রফেসর ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে ব্যক্তিগতভাবে বিপুল অর্থ অনুদান হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য যদি সৎ হতো তাহলে তথ্য অনুসন্ধানের সামান্যতম চেষ্টা করলেই তারা তা জানতে পারতো, সত্যের সন্ধান পাওয়া যেতো।
সমস্ত প্রতিবেদনটি জুড়ে যত সব মিথ্যা পরিবেশন করা হয়েছে তাতে পরিষ্কার বোঝা যায় যে তারা সাংবাদিকতার প্রতি লক্ষ্য না-রেখে শুধু মিথ্যা প্রচারণায় ব্যস্ত থেকেছে। আমরা এই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েব ভিত্তিক পত্রিকা “দি ডেইলী কলার” গত ১৭ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। প্রতিবেদনটি পরদিনই বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়া যার যার মতো প্রচার করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রতিবেদনটির বিভিন্ন সংষ্করণ প্রচারিত হয় তার মূল শিরোনাম ছিল “Disgraced Clinton Donor Got $ 13 Million in State Department Grants Under Hillary”।
শিরোনামটি এমন ভুল ধারণার জন্ম দিচ্ছে যে প্রফেসর ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে মার্কিন সরকারের অর্থ গ্রহণ করেছেন এবং তাঁর ক্ষমতাশালী বন্ধু সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে এই অর্থ পেতে সাহায্য করেছেন।
প্রতিবেদনটিতে আরেকটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলা হয়েছে যে, প্রফেসর ইউনূস মিসেস ক্লিনটনের পারিবারিক ফাউন্ডেশনকে অনুদান দিয়েছেন। এতে এমন একটা ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে মিসেস ক্লিনটনের পারিবারিক ফাউন্ডেশনকে অনুদান দিয়েছেন বলেই প্রফেসর ইউনূস মার্কিন সরকারের নিকট থেকে অনুদান পেয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে দুর্নীতির অভিযোগে প্রফেসর ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিল। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার।
এই সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করতে ইউনুস সেন্টার প্রকৃত সত্য তুলে ধরে জানিয়েছে প্রফেসর ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক ব্যবসার ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অনেক ডোনার, ব্যাংক, বিত্তশালী ব্যক্তি ও বিনিয়োগকারী অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন। ইউএসএআইডি এই বহুসংখ্যক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মাত্র একটি। ইউএসএআইডি এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কাজের গুণগত মানের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছে, কোন উচ্চ পদে আসীন কারো বন্ধুকে খুশী করতে নয়।