দেশীয় বা ট্রাডিশনাল চিকিৎসাকে উপেক্ষা না করে বরং এই ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো আধুনিকায়ন করে সাধারণ জনগণের দুয়ারে নিয়ে যেতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এছাড়া ইউনানী-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে আরও মর্যাদাময় করার পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে তিনি জানান।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ দেশীয় চিকিৎসক সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় কনভেনশন-২০১৭ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ফর্মুলায় এদেশে যেসব ঔষধ তৈরি হয় তার গুণগত মান নিশ্চিত করে বৈদেশিক বাজারও ধরতে হবে। একইসঙ্গে তিনি যেকোনো ধরনের ভেজাল ঔষধ তৈরি ও বিপণনে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
কনভেনশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজনীতিবিদ এবং দেশীয় চিকিৎসক সমিতির উপদেষ্টা পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, জ্ঞানবিজ্ঞানের এই যুগেও লোকজ চিকিৎসার গুরুত্ব কমেনি। সঠিক লোকজ চিকিৎসা সমাজে আরও কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
এসময় তিনি একটি জাতীয় ঔষধ বাগান তৈরির জন্যে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হেকিম মো. ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, ইউনানী-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহায়তা ও পরিকল্পনা প্রয়োজন। সরকার সহায়তার হাত বাড়ালে কেউ আর চিকিৎসাহীনতায় ভুগবে না।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. মোঃ মিজানুর রহমান জানান, দেশীয় চিকিৎসক সমিতির পক্ষ থেকে ১১টি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। এই প্রস্তাবনার বাস্তবায়ন হলে সাধারণ জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে।
দেশীয় চিকিৎসার মান ও পদ্ধতির উন্নয়নে তিনি জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ, উপজেলা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, ইউনানী-আয়ুর্বেদিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা, ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ঔষধের পৃথক লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ এবং ঔষধের মান নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণার জন্যে ইনস্টিটিউট স্থাপনের আহ্বান জানান।
জাতীয় কনভেনশনে সারাদেশ থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি দেশীয় চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।