আবারও সম্মুখ যুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়া। ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখ ৯০ হাজার সেনার সমাগম ঘটিয়েছে ক্রেমলিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত বড় সেনা-সমাগম আর দেখেনি ইউরোপ। তবে এখনও যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে মস্কো। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের রুশপন্থী বিদ্রোহী যোদ্ধাদের দাবি ইউক্রেন তাদের ওপর মর্টার হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে ইউক্রেনের দাবি এটি রাশিয়ার গায়ে পড়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।
মাত্র কয়েকদিন আগেও ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখের কিছু বেশি রুশ সেনা সদস্য অবস্থান করছিলো। এখন সে সংখ্যাটা প্রায় ২ লাখ। গত ৮ দশকে এটাই ইউরোপে বৃহত্তম সামরিক জমায়েত। একদিকে যুদ্ধের কোনো চিন্তা নেই-এমনটা জানান দিচ্ছে রাশিয়া, অন্যদিকে বেলারুশের সাথে যৌথ মহড়া চালিয়ে নিজেদের সামরিক শক্তির জানান দিয়ে চলেছে।
ক্রেমলিনের অশান্তির বার্তা এখানেই শেষ নয়। শুক্রবার মিউনিখ নিরাপত্তা আলোচনায় ১৯৯৯ পর প্রথমবার অংশ নেয়নি রাশিয়া। আলোচনায় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বায়েরবক জানিয়েছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে সবধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপে প্রস্তুত জার্মানি।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডনবাস অঞ্চলে চলছে অন্যরকম তৎপরতা। রুশপন্থী বিদ্রোহীরা সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের দাবি, ডনবাস অঞ্চলে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও দাবি করছেন, ডনবাস অঞ্চলে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তবে ইউক্রেন ও মিত্রদের দাবি, বিদ্রোহীদের ওপর কোনো হামলা চালানো হচ্ছে না। এগুলো ওই অঞ্চলে রাশিয়ার সেনা পাঠানোর অজুহাত তৈরির চেষ্টা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন দাবি করেছেন, এসব করে যুদ্ধের প্ররোচনা দিচ্ছে রাশিয়া।