চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ভিডিও অনলাইনে ছড়ানোয় গ্রেপ্তার ১

ইরানের রাজধানী তেহরানে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সময় ভিডিও করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইরানের সামরিক বাহিনী ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিটিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তদন্ত ও নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি ইরানের সামরিক বাহিনী।

বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়, এ ঘটনায় জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।

এরআগে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আগুন ধরে বিষ্ফোরিত হয়েছে।

মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করে তাদের ওই দাবির পক্ষে যুক্তি দাঁড় করেছে। ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে কোন একটা বস্তুর আঘাতে বিমানটিতে আগুন ধরে যেতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পরই প্রচণ্ড শব্দে এটি বিষ্ফোরিত হয়।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে তারা ওই ভিডিওটি মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সার টেকনোলজিস থেকে সংগ্রহ করেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স বলছে, যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারকৃত ব্ল্যাকবক্স ফ্লাইট রেকর্ডারটি বিমানের প্রস্ততকারক সংস্থা বোয়িং বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে না।

বুধবার সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে কিয়েভে যাওয়ার পথে উড্ডয়নের পরই ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের পিএস-৭৫২ ফ্লাইটের উড়োজাহাজটি ১৭৬ জন আরোহী নিয়ে ইরানে বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটিতে থাকা বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন ইরান এবং কানাডার নাগরিক।

ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটিকে ভূপাতিত করেছে তারা। যাতে ১৭৬ আরোহী নিহত হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের একটি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ সাইটের কাছাকাছি যাত্রীবাহী বিমানটি চলে আসলে “মানব ত্রুটি”র কারণে বিমানটি ভূপাতিত হয়।

বিমানটিকে “শত্রু টার্গেট” মনে করে ভুল করা হয় এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, বিবৃতিতে বলা হয়।

এক টুইটে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রূহানি বলেন, বিমানটির “ভয়ংকরভাবে বিধ্বস্ত” হওয়ার ঘটনা “ক্ষমার অযোগ্য ভুল”।