ইরানে বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী ইউক্রেনীয় উড়োজাহাজটি ‘ভুল করে’ ইরানের নিক্ষিপ্ত একটি মিসাইল লেগেই বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতির বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল শনিবার এ তথ্য প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় ওই জেটলাইনারকে লক্ষ্য করে বুধবার ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ একটি মিসাইল ছোড়া হয়েছিল। ইরানের বিশেষ সামরিক বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডসের একটি স্পর্শকাতর ঘাঁটির খুব কাছ দিয়ে প্লেনটি উড়ে যাচ্ছিল বলে একে ‘শত্রুভাবাপন্ন লক্ষ্যবস্তু’ মনে করে ‘মানবিক ত্রুটিবশত’ মিসাইলটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
যাদের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
শুধু সামরিক বাহিনীর বিবৃতি নয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির টুইটার পেজেও একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেই টুইটবার্তাটি রিটুইট করে এর জন্য গভীর শোক ও আফসোস জানিয়েছেন রুহানি।
The Islamic Republic of Iran deeply regrets this disastrous mistake.
My thoughts and prayers go to all the mourning families. I offer my sincerest condolences. https://t.co/4dkePxupzm
— Hassan Rouhani (@HassanRouhani) January 11, 2020
তিনি বলেছেন: ‘এই সর্বনাশা ভুলের জন্য ইরান গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করছে। শোকগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আমার অনুভূতি ও প্রার্থনা। তাদের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
এই ভয়ানক ট্র্যাজেডি ও ক্ষমার অযোগ্য ভুলের জন্য দায়ীদের শনাক্ত করার তদন্ত চলছে বলেও জানান প্রেসিডেন্ট।
বুধবার ইরানের তেহরানে ইমাম খোমেনি বিমানবন্দরের কাছে ১৮০ যাত্রী ও ক্রু নিয়ে ইউক্রেনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বোয়িং ৭৩৭-৮০০ জেট উড়োজাহাজটি তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে পারান্দের কাছে বিধ্বস্ত হয়।
এ ঘটনায় উড়োজাহাজে থাকা সবাই নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা দুর্ঘটনার জন্য ইরানের ভুলে ছোড়া রকেট বা মিসাইলকে দায়ী করে আসলেও এ পর্যন্ত বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল দেশটি। তবে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে প্রতিশোধমূলক রকেট হামলা চালানোর ওই সময়টাতে ভুল করে দুর্ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করল ইরান।