শীঘ্রই ইইউ পাসপোর্টধারীদের দেশটিতে অবাধে প্রবেশের অধিকার শেষ করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রেক্সিট কার্যকর হবার আগে ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের হার বৃদ্ধি পেতে পারে এমন আশংকা থেকে এই পরিকল্পনা। যা বাস্তবায়ন করতে হলে ইইউ চুক্তির অনেক শর্তের বিরুদ্ধে যেতে হবে।
আগামী মাসে ব্রেক্সিট থেকে বের হতে আর্টিকেল ৫০ উপস্থাপনের সময়ই এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে।যুক্তরাজ্য সরকার আশংকা করছে যে ব্রেক্সিট কার্যকরের আগে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক সংখ্যক লোক যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারে।
আশা করা হচ্ছিল প্রধানমন্ত্রী ১৫ মার্চের আগে যেকোনো দিন যুক্তরাজ্যে অবাধে চলাচলের ‘ডেডলাইন’ হিসেবে ঘোষণা করবেন। এই সময়ের পরে যারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করবেন তারা দেশটিতে স্থায়ীভাবে থাকতে পারবেন না। এই ডেডলাইনের মধ্যে ৩.৬ মিলিয়ন ইউরোপিয় ইউনিয়নের নাগরিক যারা ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যে বাস করছেন এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিক যারা ইইউভুক্ত দেশগুলোতে থাকছেন, শুধুমাত্র তাদের অধিকারই সংরক্ষিত হবে।
ইউরোপিয় ইউনিয়নের বিরোধী কনসারভেটিভ এমপি ইয়েন ডানকান স্মিথ বলেছেন, থেরেসা বুঝতে পেরেছেন যে নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। ইউরোপিয় ইউনিয়ন দিনদিন অসৎ এবং দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে, তাই ডেডলাইনের বিষয়ে থেরেসা মে তার বক্তব্য আরও স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট করবেন।
ইউরোপিয় ইউনিয়ন যুক্ত দেখিয়েছে যে যুক্তরাজ্যে প্রবেশে বাঁধার ডেডলাইন সেইদিন হওয়া উচিত যেদিন যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে প্রকৃত অর্থেই বের হয়ে যাবে। তবে যুক্তরাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত ইইউয়ের চলাচলের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিষয়ের কোনো চুক্তির সাথে সাংঘর্ষিক হবে কিনা তা ঠিক স্পষ্ট নয়।
সরকারি এক সূত্রের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ লিখেছে, যুক্তরাজ্যের সরকার আশংকা করছে যে ব্রেক্সিট কার্যকরের আগে ইইউ নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করতে ইইউ কমিশন চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আমরা যদি আরও বেশি সময় অপেক্ষা করি তাহলে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার অর্ধেক লোক যুক্তরাজ্যে এসে ঢুকতে পারে।
ইইউভুক্ত দেশগুলোতে প্রায় ১.২ মিলিয়ন ব্রিটিশ নাগরিক বাস করছেন। তাদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে ইইউ নাগরিকত্বের সুবিধা দেয়া হতে পারে। বেক্সিট বাস্তবায়নের ফলে ব্রিটিশ কর্মকর্তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনতে অনেক ধরনের ঝামেলা পোহাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।